ধর্মনগর স্টেশনে রেল টিটিই-র অবৈধ রমরমা টিকিট বানিজ্য - Sabuj Tripura News

সবুজ ত্রিপুরা 
১১ ডিসেম্বর ২০২০  
শুক্রবার

ধর্মনগর প্রতিনিধিঃ করোনাকালীন পরিস্থিতিতে লকডাউন এর ফলে দীর্ঘ বহু মাস বন্ধ ছিল রেল পরিষেবা। অবশেষে প্রায় একমাস হল শুরু হয়েছে রেল চলাচল। দেশের সাথে আমাদের রাজ্যেও চলছে রেল পরিষেবা। এখনো সবগুলো যাত্রীবাহী ট্রেন ও এক্সপ্রেস ট্রেন স্বাভাবিক ভাবে চলাচল না করলেও স্পেশাল ট্রেন হিসেবে কিছু কিছু ট্রেন যাতায়াত শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে বাড়ছে রাজ্যে রেল চলাচল। যেহেতু বর্তমানেও করোনার প্রভাব থাকায় সরকারিভাবে বারবার যাত্রীদের বিভিন্ন বিধি নিষেধ পালন করে যাতায়াতের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। 

 
আরও পড়ুনঃ উপাধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেনের উপস্থিতিতে ছাত্রীদের মধ্যে সোলার স্টাডি ল্যাম্প বিতরণ 

ফলে ট্রেনের কামরা গুলোর ভিতর দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ থাকায় স্বাভাবিক ভাবেই ট্রেন গুলিতে পূর্বের যাত্রী ধারনের সংখ্যার তুলনায় বর্তমানে ট্রেনগুলোতে যাত্রী ধারনের সংখ্যা কম থাকার কথা। তাই যাত্রী ধারন ক্ষমতা কম থাকার ফলে ট্রেনগুলোর টিকিটের মূল্য বেশ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।পাশাপাশি  বহি রাজ্য যাতায়াতের ট্রেনগুলোতে জেনারেল টিকিট এর সুযোগ না রাখায় ট্রেনে উঠার পুর্বে রিজার্ভেশন করতে হচ্ছে যাত্রীদের। কিন্তু লক্ষ্য করা গেছে ট্রেনের টিকিটের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় এবং বহি রাজ্যের ট্রেনগুলোর টিকেট রিজার্ভেশন এর মাধ্যমে সংগ্রহ করার ব্যবস্থা থাকায় ধর্মনগর রেলস্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত টিটির সহযোগে কিছু রেলকর্মী অবৈধভাবে টিকেট এর বদলে যাত্রীদের কাছ থেকে সরাসরি নগদ অর্থ সংগ্রহ করতে ব্যস্ত। 


সোমবার ধর্মনগর থেকে করিমগঞ্জ এর যাওয়ার উদ্দেশ্যে এক যাত্রী স্টেশনে এসে দেখতে পায় ট্রেনে জেনারেল টিকিটের ব্যাবস্থা নেই। এদিকে স্বাভাবিক ভাবে তৎক্ষনাৎ রিজার্ভেশনের এর ব্যবস্থা না থাকায় সে টিকেট সংগ্রহ করতে পারেনি। কিন্তু তার কাছ থেকে ২০০ টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে তাকে ট্রেনে বসার সুযোগ করে দেয় ধর্মনগর রেলওয়ে স্টেশনের এনকোয়ারি দপ্তরের এক কর্মী। জানা গেছে ধর্মনগর থেকে বদরপুর প্রতি অবৈধ টিকেটের বিনিময়ে এভাবেই টিকিট প্রতি ৩০০ টাকা এবং শিলচরের প্রতিটি অবৈধ টিকেটের বিনিময় ৪০০ টাকা করে টুপাইস কামাচ্ছেন বদ উদ্দেশ্যের কিছু রেল টিটিই। 


এও জানা গেছে জেনারেল কম্পার্টমেন্ট না থাকার দরুন বহি রাজ্যের ট্রেনগুলো যাতায়াত শুরু হওয়ার পর থেকেই ধর্মনগর রেল স্টেশনে এমন অবৈধ বাণিজ্য চলছে। এতে ক্ষতি হচ্ছে রেল দপ্তরের। এটাই দেখার রেল দপ্তর এই অবৈধ বাণিজ্য বন্ধ করতে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এভাবেই যদি রেলের টিকিট না কেটে টিটিই কিংবা টিসিকে অবৈধ ভাবে রেল টিকিটের টাকা দিয়ে চলাচল করেন যাত্রীরা তবে আগামীতে বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে রাজ্যের রেল পরিষেবা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu