বিশালগর প্রতিনিধিঃ প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মুখ্যমন্ত্রীর উন্নত গোধন প্রকল্প এর উদ্বোধন হয় বিশ্রামগঞ্জ মাল্টিপারপাস হলে। সিপাহী জলা জেলার এই প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন করেন নলছর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক সুভাষ দাস, এছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের অধিকর্তা, এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মেলাঘর পরিষদের চেয়ারপারসন উত্তম দাস, সিপাহী জলা জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত। বিজ্ঞান ভিত্তিতে গরু পালন কিভাবে করতে হয় সেই বিষয়ে আলোচনা করেন প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের অধিকর্তা এবং দুধের পরিমাণ কিভাবে বাড়ানো যায় সে সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন ডাক্তাররা।
রাজ্যে বুস্টার ট্রেনিং প্রাপ্ত আছেন ৪৮৮ জন। সিপাহী জলা জেলায় আছেন ৪৩ জন। তাছাড়া বলা হয় যে, আগে গরুর ডাক ধরানোর জন্য নেওয়া হতো ১০ টাকা। এখন কৃষকদের থেকে নেওয়া হবে ৫০ টাকা। এই ওষুধ টার দাম ৫১৯ টাকা। রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার তা বহন করছেন। গো পালকেরা শুধু দেবেন ৫০ টাকা। অনুষ্ঠানের উদ্বোধক বিধায়ক সুভাষ চন্দ্র দাশ বলেন ২০০৯ সালে ভারতবর্ষে চালু হয়েছিল এই প্রকল্প কিন্তু ঐ সরকারের মানসিকতা ছিল না তাদের ইচ্ছা ছিলনা কৃষকদের উন্নত করার জন্য।
কিন্তু বর্তমান সরকার মানুষকে অর্থনৈতিক ভাবে কিভাবে লাভবান করা যায় সেই কথা মাথায় রেখে কাজ করছেন। আত্মনির্ভর প্রকল্প গুলি মুখ্যমন্ত্রী এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাছাড়া বিধায়ক বলেন প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে নিয়ে যেতে হবে প্রকল্পগুলিকে। গ্রামীণ এলাকার জনগণ যাতে প্রকল্প সম্পর্কে বুঝাতে পারেন সেই ব্যাপারে নজর দিতে হবে প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরকে।
যখন ভ্যাকসিনের দাম ৫০ টাকা শুনবেন গ্রামীণ এলাকার মানুষের মধ্যে বিশ্বাস হারিয়ে যেতে পারে সে কারণেই গ্রামীণ এলাকার জনগণকে বুঝাতে হবে। যদি এই ভ্যাকসিন দিয়ে ৯৫% ফিমেল করতে পারি তাহলে গ্রামীন এলাকার কৃষকরা উন্নত হবেন। তাছাড়া গ্রামীণ এলাকায় রোস্টার রা গো পালকভাইদের থেকে অতিরিক্ত টাকা যাতে না নেন সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরকে। এছাড়া আলোচনা করেন সিপাহী জলা জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুপ্রিয় দাস দত্ত।
0 মন্তব্যসমূহ