দীপাবলির আগমনে মাটির প্রদীপ তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎ শিল্পীরা, কিন্তু বিক্রি করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে আশঙ্কা - Sabuj Tripura News

সবুজ ত্রিপুরা
০৫ নভেম্বর ২০২০  
বৃহস্পতিবার        

তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ আলোর উৎসব দীপাবলি আসন্ন। গ্রাম থেকে পাহাড় সকলেই মেতে উঠবে অনাবিল আনন্দে। অন্ধকারের গ্লানি ভুলে আলোয় উদ্ভাসিত হবে সমগ্র দেশ। যদিও এ বছর করোনা আবহে দীপাবলীর প্রস্তুতিতে বেশ প্রভাব ফেলছে। তারপরও সর্বত্র প্রস্তুতি তুঙ্গে। দীপাবলি উৎসব তথা আলোর উৎসব, রং বাহারি নানা প্রকার ইলেকট্রনিক লাইট বাজারে এলেও বর্তমান যুগে গ্রাম বাংলা সহ শহরতলীতে হারিয়ে যায়নি মাটির প্রদীপের কদর। এখনো মৃৎ শিল্পীদের তৈরি মাটির প্রদীপের কদর রয়েছে প্রচুর। 


যাদের নিপুণ হাতে তৈরি হয় মাটির প্রদীপ, সেই প্রদীপ শিল্পীরা কেমন আছেন তা জানতে আমাদের প্রতিনিধি ছুটে গিয়েছিল তেলিয়ামুড়া মহকুমার তেলিয়ামুড়া পৌর পরিষদের ২ নং ওয়ার্ড তথা পাল পাড়ায় ধীরেন্দ্র রুদ্র পালের বাড়িতে। তিনি জানান অন্যান্য বছর দশ থেকে বারো হাজার প্রদীপ তৈরি করতাম কিন্তু এবছর করোনার জন্য মাত্র দু'তিন হাজার প্রদীপ তৈরি করেছি। কিন্তু যে প্রদীপ গুলি তৈরি করেছি সেগুলি বাজারে বিক্রি করতে পারবো কিনা তা নিয়ে কিন্তু একটা চিন্তা থেকেই যাচ্ছে। 


তিনি জানান এই এলাকার প্রায় ২০ জন মৃৎশিল্পী রয়েছেন। পরবর্তীতে আমাদের প্রতিনিধি ছুটে গিয়েছিল তেলিয়ামুড়া মহকুমার তুসিন্দ্রায়  এলাকায়  খোকন রুদ্র পালের বাড়িতে। সেখানে গিয়ে দেখা গেল খোকন বাবু আপন মনে বসে নিজ ঘরের বারান্দায় মাটির প্রদীপ তৈরিতে ব্যস্ত।তিনি জানান আগে মাটির প্রদীপের চাহিদা ছিল অনেক। কিন্তু যুগের পরিবর্তনে ও মানুষের চাহিদার তাগিদে বাজারে বর্তমানে নিত্য-নতুন বাহারি রং -বেরঙ্গের লাইট আশায় প্রদীপের চাহিদা আগের তুলনায় কমে গিয়েছে। তবে প্রদীপ তৈরি এখনো করে যান গ্রাম বাংলার মৃৎ শিল্পীরা। 


কারণ এই কাজে তৃপ্তি আনলেও দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির বাজারে এই কাজ করে সংসার প্রতিপালন করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।যদি সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা তাদের জন্য দেওয়া হতো তবে তারা একটু ভালোভাবে বাঁচতে পারতেন। আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা তারপরই আলোর উৎসব দীপাবলি। তাদের হাতের নিপুন ছোঁয়ায় প্রস্তুতকৃত প্রদীপের আলোর রোশনাই আলোকিত হোক সকলের জীবন চাইছেন মৃৎ শিল্পীরা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu