বক্সনগর প্রতিনিধিঃ পুকুরে স্নান করতে গিয়ে মৃত্যু হলো দশ বছরের এক শিশু কন্যার ঘটনাটি ঘটে কলমচৌড়া থানাধীন মানিক্যনগর পঞ্চায়েত এলাকার ৫নং ওয়ার্ডে। শিশু কন্যাটির নাম বিনা নম:,তার পিতার নাম রাধা চরন নম:। জানা গেছে, ছোট্র মেয়ে বিনা এবং তার ছয় বছর বয়সের ছোট ভাই নয়ন সহ সকালে তাদের বাবার সাথে বাড়ির পাশে পুকুরে যায় স্নান করতে। কিন্তু তার বাবা রাধাচরন নম: স্নান শেষে ছেলেকে নিয়ে চলে গেলে,সেখানেই একাকিত্ব থেকে যায় মেয়ে বিনা।খানিকটা সময় পরে সুমিতা পাল নামের জনৈক প্রতিবেশী পুকুরের পাশে গেলে দেখতে পায় বাচ্চাটি জলে ভেসে আছে।
সাথে সাথে চিৎকার করে লোক জমায়েত করা হলে, লোকজন এসে তার মৃত দেহ পুকুর থেকে তোলে। এদিকে বাচ্চার এমন জলে পরে মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে সাংবাদিকরা গিয়ে পৌঁছালে সেখানকার প্রতিবেশীর কাছ থেকে জানতে পারে,বাচ্চা মেয়েটির বাবা পূর্বে আরও পাঁচটি বিয়ে করেছেন। তার বর্তমান যে স্ত্রী রয়েছে সেটা তার ষষ্ঠতম স্ত্রী এবং জলে পরে মৃত্যু হওয়া কন্যাটি (বিনা নম:) তার নিজের কন্যা নয়।
তার বর্তমান স্ত্রী বিগত পাঁচ বছর পূর্বে এই কন্যা সন্তানকে নিয়ে এসে রাধাচরনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। কিন্তু বিবাহের পরে প্রায় সময়ই এই পাষন্ড পিতা তাকে অর্থাৎ বাচ্চা মেয়েটিকে মারধর করতো, অবহেলা করতো বলে অভিযোগ। তাই আজকেও স্নানের নামে বাচ্চা মেয়ের এমন মৃত্যুকে ঘিরে এলাকায় নানা গুঞ্জন চলছে।এদিকে জলে পড়ে মৃত্যু হওয়ায় মৃত দেহ বক্সনগর সামাজিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ড: দীপ্তনীল দাস মৃত দেহের পোস্ট মর্টেম না করে তার পরিবারকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে বলে।
মৃত্য মেয়েটির মা বাচ্ছা মেয়েটিকে কুলে করে সেই মৃত দেহ এলাকায় ফিরিয়ে নিয়ে যায়। তবে পরবর্তীতে এই বিষয়টি সাংবাদিকদের মধ্যে জানাজানি হতেই কলমচৌড়া থানা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পুনরায় বাচ্চার মৃত দেহ হাসপাতালে আনা হয়। বর্তমানে সেই মৃত দেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। অপরদিকে পুকুরের জলে পরে বাচ্চা মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার পিতা-মাতাকে কলমচৌড়া থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ