আশা কর্মীদের অর্কমন্য তার কারণে প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রসূতি মায়েদের দুর্ভোগ - Sabuj Tripura News

সবুজ ত্রিপুরা
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০
বুধবার 

তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ রাজ্যের একাংশ আশা কর্মীদের অর্কমন্য তার কারণে প্রত্যন্ত এলাকার উপজাতি প্রসূতি সম্ভাব্য মায়েদের প্রসব বর্তমানেও নিজেদের বাড়িঘরে করানো হচ্ছে। যা এক অস্বাস্থ্যকর ব্যাপার। প্রত্যন্ত এলাকার উপজাতিদের মধ্যে এখনো করোনা ভয় কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এমনই এক ঘটনা ঘটে গেল মুঙ্গিয়াকামি থানাধীন এলাকার ৩৬ মাইল এলাকায়। গত ২৬ শে সেপ্টেম্বর ৩৬ মাইল এলাকায় এক উপজাতি রমনী নিজ বাড়িতে এক সন্তান প্রসব করে। করোনা ভয়ের কারণে ঐ মহিলা ও তার পরিবার মুঙ্গিয়াকামী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ও আসেনি।


এ অবস্থায় ৩০ শে সেপ্টেম্বর ঐ উপজাতি মহিলা পেট ব্যথার যন্ত্রণায় অসুস্থ হয়ে পড়ে নিজ  বাড়িতেই। কিন্তু প্রসব হওয়া সন্তান সম্পূর্ণ সুস্থ। পরে অসুস্থ মহিলাকে তার পরিবারের লোকজনেরা তড়িঘড়ি বুধবার সকালে অটো গাড়ি রিজার্ভ করে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে। তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে এলে  মহিলাকে কোভিড ১৯  পরীক্ষা করা হলে করোনার  জীবাণু শনাক্ত হয়। পরে হাসপাতালের কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসক নমিতা কলই পিপিই কিট পরিধান করে প্রসূতি সদন কক্ষে নিয়ে যান ঐ অসুস্থ মহিলাকে। 


পরবর্তী সময়ে ঐ মহিলা চিকিৎসক প্রসূতি মায়ের প্রসবকালীন এর পর বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিধি অনুসারে অসুস্থ মহিলাকে সুচিকিৎসা প্রদান করেন। এতে অসুস্থ মহিলা স্বাভাবিক ভাবে সুস্থতা অনুভব করে। এক্ষেত্রে হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসক নমিতা কলই মানবিকতার পরিচয় দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন।

সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে তিনটি এম্বুলেন্স থাকা সত্বেও করোনা আক্রান্ত মহিলাকে পাঠানো হল  যাত্রীবাহী অটো গাড়িতে করে। এক্ষেত্রে করোনা জীবাণুর  গুষ্টি সংক্রমণ প্রত্যন্ত এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক অজিত দেববর্মার  উদাসীনতার কারণে এমনটা হয়েছে। 


অথচ রাজ্যে প্রসূতি মায়েদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের ঘোষণা দিয়েছিল দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্রীয় ও রাজ্য স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এর জন্য কোটি কোটি টাকাও ব্যয় করা হচ্ছে। বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে যাতে করে গৃহ প্রসব ব্যবস্থা বদ্ধ হয়।এর জন্য কয়েক শত আশা কর্মী  ও নিয়োগ করা হয়েছে গ্রামে গ্রামে প্রসূতি মায়েদের সাহায্যার্থে। এক্ষেত্রে আশা কর্মীদের কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে বিভিন্ন মহলে। বিশেষ করে প্রত্যন্ত এলাকা গুলোতে আশা কর্মীরা যে অনেকটা অর্কমন্য তারই এক বিশেষ প্রতিবেদন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu