ধর্মনগর প্রতিনিধিঃ করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন রাজ্যের বিশিষ্ট যাত্রা ও নাট্য শিল্পী বিজন চন্দ। মৃত্যুকালে বয়স ওনার হয়েছিল ৬৮ বছর। বিজন চন্দের বাড়ি ধর্মনগর মহাকুমার কালাছড়া গ্রামে। তিনি অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক ছিলেন।এবং রাজনৈতিক ভাবে শাসক দলের কৃষক সংগঠন কিষান মোর্চার বাগবাসা বিধানসভা এলাকার মন্ডল সভাপতি ছিলেন তিনি।প্রথম অবস্থায় ছাত্রজীবনে তিনি কংগ্রেস রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। খুব ভালো সুবক্তা ছিলেন। ছাত্রাবস্থা থেকেই নাটক যাত্রার অভিনয় শুরু করেন তিনি। যাত্রা নাটকে অভিনয়ের পাশাপাশি বহু নাটক তিনি নিজে রচনা ও নির্দেশনা করেছেন।
২০১৯ সালেও 'কুরুক্ষেত্রে শ্রীকৃষ্ণ' যাত্রাপালায় চুটিয়ে অভিনয় করেছেন।বিজন চন্দ ছিলেন আপাদমস্তক একজন সংস্কৃতিপ্রেমী। খুব ভালো কবিতা ও ছোটগল্প লিখতেন। বিজন চন্দের পিতা অমল চন্দ্ও একজন প্রথিতযশা যাত্রা শিল্পী ছিলেন। একমাত্র কন্যা বনানী ও একজন উদীয়মান যাত্রা শিল্পী। পাশাপাশি তিনি ছিলেন একজন খুব ভালো সংগঠক।
শিক্ষকতা থেকে অবসর গ্রহণ করে আবার রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। যোগ দেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। ছিলেন বাগবাসা মন্ডলের কিষান মোর্চার সভাপতি। গত ২০ সেপ্টেম্বরও উত্তর হুরুয়া গ্রামে একটি কিষান মোর্চার অনুষ্ঠানের সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে নেতৃত্ব দেন তিনি।
ঠিক তার দুদিন পরেই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি হন। টেস্ট করে দেখা যায় ওনার করোনা পজিটিভ। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেলে জিবি হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।আগরতলার জিবি হাসপাতালেই চিকিৎসা চলাকালীন তিনি বুধবার সকাল ১১ টায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
মৃত্যুকালে তিনি রেখে গেছেন একমাত্র কন্যা ও স্ত্রী সহ আত্মীয় স্বজন এবং অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষীদের। বিজন চন্দের মৃত্যুতে রাজ্যের রাজনীতি এবং সংস্কৃতি জগতে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গভীর শোক ব্যক্ত করেছেন কিষাণ মোর্চা রাজ্য সভাপতি জওহর সাহা, ওবিসি মোর্চার রাজ্য সম্পাদক প্রদীপ কুমার নাথ, উত্তর জেলা কালচারাল সেলের সভাপতি দীপাল দাস প্রমূখ।
0 মন্তব্যসমূহ