তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ তেলিয়ামুড়া মহকুমার বিলাই হাম পাড়ার গ্যাস্ট্রো রাম রিয়াং পিতৃ পুরুষদের দেখানো পথ অনুযায়ী দীর্ঘ বৎসর যাবৎ জুম চাষ করে আসছেন। বর্তমানে জুমচাষে উনার অনীহা। যোগাযোগ করলেন তেলিয়ামুড়া কৃষি দপ্তরে। কৃষি দপ্তর সর্বতোভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। প্রথমেই দেওয়া হয় উনার দুই হেক্টর জমির জন্য আটশত মুসাম্বির চারাগাছ। তাছাড়া বাগান পরিষ্কার করা বাগান পরিচর্যা করা ও চারা লাগানোর জন্য রেগার মাধ্যমে শ্রমদিবস ও দেয়া হয়। পাশাপাশি দেওয়া হয় সুপারি চারা লিচুর চারা ইত্যাদি।
প্রায় এক বছর হয়ে যাচ্ছে গাছগুলি মোটামুটি ভাবে একটি ফল বাগানে তৈরি হচ্ছে। আগামী দু-তিন বছরের মধ্যেই ফল ধরবে এবং এই ফল বাজারে বিক্রি করে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবেন এমনটাই আশা কৃষি দপ্তরের। তাই প্রশাসনের একটি প্রতিনিধি দল ছুটে গেলেন বিলাই হামের গ্যাস্ট্রো রাম রিয়াং এর বাগান পরিদর্শনে।
এদিন পরিদর্শনের ছিলেন খোয়াই জেলা পরিষদের জেলা সভাধিপতি জয়দেব দেববর্মা সহ সভাপতি হরিশঙ্কর পাল তেলিয়ামুড়া মহকুমা কৃষি তত্ত্বাবধায়ক সেন্টু আচার্জী কৃষি অফিসার মৌসুমী দাস সহ অন্যান্যরা। ঐ দিন এ বাগানটি পরিদর্শন করে গ্যাস্ট্রো রাম রিয়াং এর আগামী দিনে আরো কি কি করা যায় তার বাগানের জন্য সে ব্যাপারেও পরিকল্পনা নেন।
বাগান পরিদর্শন করে খুশি জেলা সভাধিপতি জয়দেব দেববর্মা। এক সাক্ষাৎকারে জুমচাষী গ্যাস্ট্রো রাম রিয়াং জানান এখন আর জুম চাষ করে আগের মত লাভবান হওয়া যায় না। পরিবার-পরিজনদের নিয়ে কোনভাবে দুবেলা-দুমুঠো খাওয়া যায়। কিন্তু জীবনমান উন্নয়ন করতে গেলে আর্থসামাজিক দিয়ে উন্নতি ঘটাতে গেলে বিভিন্ন ধরনের ফলের বাগান করে আগামী দিন অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল হওয়া সম্ভব।
0 মন্তব্যসমূহ