ধর্মনগর প্রতিনিধিঃ ধর্মনগর কেন্দ্রীয় সরকার গৃহীত কৃষি সংস্কার বিল প্রত্যাহারের দাবি সহ মোট ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শুক্রবার বার ২৫ শে সেপ্টেম্বর ছিল চারটি বাম সংগঠনের ডাকা প্রতিরোধ দিবস। এই প্রতিরোধ দিবসে ধর্মনগরের সিপিআই(এম) কার্যালয় থেকে লাল ঝান্ডায় সুসজ্জিত বিক্ষোব মিছিল বের হয়। নতুন সরকার রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত হবার পরে এটাই ছিল ধর্মনগরে বামেদের বৃহৎ কর্মসূচি। শুক্রবারের মিছিলে বাম কর্মী সমর্থকেরা স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা গেছে। রাজ্য শাসনের পালা বদলের পর থেকেই ধর্মনগরে বামেরা তাদের অধিকাংশ কর্মসূচিই সংক্ষিপ্ত ভাবেই পালন করতো।
কিন্তু শুক্রবার প্রায় সাত শতাধিক লাল ঝান্ডার মিছিল বেশ শক্তিশালী প্রদর্শন দেখায়। কিন্তু বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির কারনে শুক্রবার মিছিল করার অনুমতি ছিল না বামেদের। তাই পুলিশও শুক্রবার সকাল থেকেই প্রস্তুত ছিল মিছিল প্রতিরোধ করতে। কিন্তু বামেরা মিছিলের শুরু থেকেই সংকল্প বদ্ধ ছিল যে যতই প্রতিরোধ আসুক সকল রোধ প্রতিরোধ ভেঙ্গে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মিছিল এগিয়ে যাবে।
সেই মোতাবেক শুক্রবার ধর্মনগর সিপিআই(এম) কার্যালয় থেকে বামেদের মিছিল একের পর এক পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙ্গে এগিয়ে যায়। পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তিতে পিছু হটেননি শুক্রবার নারী পুরুষ যুবক যুবতী কেও। পরবর্তীতে যদিও একটা সময় ধর্মনগর ইলেকট্রিক অফিসের সামনে এসে পুলিশি ব্যারিকেডের সামনে তাদের মিছিল থমকে পরে। সেখান থেকেই মিছিল পুনরায় ধর্মনগর সিপিআই(এম) পার্টি কার্যালয়ে ফিরে যায়।
কিন্তু বর্তমানে কোভিড পরিস্থিতিতে অনুমতি ছাড়া বিক্ষোব মিছিল সংগঠিত করা থেকে শুরু করে পুলিশি বাধাঁকে উপেক্ষা করে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার দায়ে ধর্মনগরের পুলিশ প্রশাসন সিপিআই(এম) নেতৃত্ব অমিতাভ দত্ত, অভিজিৎ দে, রতন রায়, হাসি ভট্টাচার্য, সাথী ভট্টাচার্য, শক্তি ভট্টাচার্য,আতাউর রহমান, শ্রীব্রত চক্রবর্তী ও মধুসূদন দে সহ মোট ১০ জনের নামে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮, ৩৫৩,২৭০/৩৪ আইপিসি ধারা ও ইপিডেমিক আইন ৩ ও ৮২ পুলিশ আইনে মামলা গ্রহন করেছে।
0 মন্তব্যসমূহ