ফাঁসিতে আত্মহত্যা করেন এক ৪২ বছরের যুবতী - Sabuj Tripura News

সবুজ ত্রিপুরা
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
মঙ্গলবার 

বক্সনগর প্রতিনিধিঃ নিজের ঘরের সিলিং এর তীরের সাথে  ওড়না পেঁচিয়ে ৪২ বছরের যুবতী ফাঁসিতে আত্মহত্যা করল। ঘটনা কলমচৌড়া থানাধীন দক্ষিণ কলমচৌড়া ১০ কলোনি এলাকায়। যুবতী মহিলার নাম সবিতা দাস, স্বামী দুলাল দাস। ঘটনার বিবরণে জানা যায় দুলাল দাস এর  স্ত্রী সবিতা দাস দীর্ঘদিন ধরে কিডনি রোগে ভুগছেন। তাই তিনি প্রায় সমই বলে থাকেন তিনি আর বাঁচবেন না তিনি আত্মহত্যা করবেন। এমনটাই জানালেন তার স্বামী দুলাল দাস। তাই তাকে দীর্ঘদিন ধরে নাকি পাহারা দিয়ে রাখেন যাতে করে আত্মহত্যা না করতে পারেন। 


তবে তার শেষ রক্ষা হলো না, শেষ পর্যন্ত তিনি আত্মহত্যাই করলেন। জানা যায় রবিবার বারোটা পর্যন্ত সজাগ ছিলেন এবং বারোটা পর্যন্ত কোন ফাঁসিতে আত্মহত্যা করেননি। বারোটার পরে যখন সবাই ঘুমিয়ে যায় তখন তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বলে জানান তার স্বামী। সকালবেলা সবাই ঘুম থেকে উঠে দেখে সে তার ঘরের মধ্যে ফাঁসিতে ঝুলে রয়েছেন। স্বামী  দুলাল দাস প্রথমেই তার মৃতদেহ পুলিশকে খবর না দিয়ে মৃতদেহ  উদ্ধার করে  চিৎকার-চেঁচামেচি করতে থাকে তখন এলাকার লোকজন ছুটে আসে দেখে তার স্ত্রীর মৃতদেহ। 


তখন এলাকাবাসী  কলমচৌড়া থানার পুলিশকে খবর দিলে এএসআই হারাধন দেববর্মা এবং পুলিশবাহিনী গিয়ে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বক্সনগর সামাজিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসে। ময়না তদন্ত করার পর তাদের মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেয়। ঘটনায় পুরো এলাকা 

জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।  গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় মৃত সবিতা দাস এর স্বামী দুলাল দাস সবসময়ই মদ্যপান অবস্থায় থাকেন এবং তার স্ত্রীর পরিস্থিতির উপর নির্মম অত্যাচার চালানো  হতো। তিনি বিভিন্ন নেশা কারবারির সাথে জড়িত। 


তাছাড়া গাঁজা চাষ করে এবং অন্যদিকে বিলেতি মদ্যপান এবং বাংলা মদ্যপান করে স্ত্রীর উপর প্রত্যেকদিন রাত্রে বেলায় এসে অত্যাচার চালাত। এখানে জনমনের মনে প্রশ্ন আসে  তিনি অত্যাচার  সহ্য না করতে পেরে নাকি আত্মহত্যা করেছেন। না কি  দুলাল দাস নিজেই তাকে মেরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখলেন এটাও প্রশ্ন আসে।এখন পুলিশ সঠিক তদন্ত করে আসল সত্য উদঘাটন হবে বলে জনগণের ধারণা। এখন  দেখার বিষয় পুলিশ কতটুকু তদন্ত চালায়।




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu