শশ্মান ঘাট জঙ্গলে জরাজীর্ণ হওয়ায় নানা সমস্যার সম্মুখীন সৎকারে আশা লোকজনের - Sabuj Tripura News

সবুজ ত্রিপুরা
২৮ আগষ্ট ২০২০
শুক্রবার 

তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ মানব জীবনের শেষ প্রান্তে এসে যখন শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করা হয় তখন তাকে বলা হয় মৃত্যু। আর মানব জীবনের মৃত্যুর পরই অর্থাৎ তার শেষ সৎকার করা হয় একটি শশ্মান ঘাটে যেখানটায় হয় ঐ মৃত ব্যক্তির শেষ ঠিকানা।  আর ঐ শ্মশান যদি থাকে জঙ্গলে জরাজীর্ণ তাহলেতো মৃত ব্যক্তির পরিবার পরিজনদের সৎকার করতে নিয়ে আসাটা হবে ঝুঁকিপূর্ণ। 



উল্লেখ্য ২০১৮ সালে  তেলিয়ামুড়া ব্লকের আর্থিক সহায়তায় তৃষা বাড়ি এলাকার রেল ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় একটি শ্মশান তৈরি করা হয়েছিল। কাজটি সম্পূর্ণ হওয়ার কিছুদিন পরেই রাজ্য রাজনীতিতে বিশাল পরিবর্তন ঘটে। তখনই দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন প্রাক্তন মৎস্য ও অগ্নিনির্বাপক দপ্তরের মন্ত্রী খগেন্দ্র জমাতিয়া। উনার বাড়ি ঐ এলাকায় হওয়ায় তিনিই প্রথম মৃত ব্যক্তি এই শ্মশান প্রথমবারের মতো মৃতদেহ সৎকার করা হয়। 


এরপর থেকে প্রায় তিন বছর শ্মশানটির বয়স। গত বৎসর তুফানের ফলে শ্মশানের বিশ্রামাগারের টিনের দেওয়া ছাদ উড়িয়ে নিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয় পুরো শ্মশানটি   জঙ্গলে জঙ্গলাকীর্ণ  হয়ে আছে।  চলাচলের  রাস্তা যা আছে তাও জঙ্গলে পরিপূর্ণ। এ ব্যাপারে জগন্নাথ বাড়ি পঞ্চায়েতের এক কর্মীকে জিজ্ঞাসা করা হলে ক্যামেরা দেখে এই ব্যাপারে আমি নেই বলে দৌড়ে পালিয়ে যান পঞ্চায়েত কার্যালয়ের ভেতরে। 


তবে এক এলাকাবাসী আমাদের সংবাদ প্রতিনিধিকে জানান- মন্ত্রী  খগেন্দ্র জমাতিয়া কে প্রথমবারের মতো এখানে সৎকার করা হয়। বর্তমানে এই শ্মশানটি  জঙ্গলের পরিপূর্ণ। এর দ্রুত সারাই করা প্রয়োজন। কারণ এলাকায় মৃত্যু হলে এই শ্মশানটিই একমাত্র ভরসা।এখন এলাকাবাসীরা চাইছে যেন  মেরামতের কাজে হাত দিক দপ্তর।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu