দুষ্কৃতীদের হানায় আগুনে পুড়ে ছাই গৃহস্থের জীবিকা নির্বাহের শেষ সম্বল অটো গাড়ি - Sabuj Tripura News

সবুজ ত্রিপুরা
১৩ আগষ্ট ২০২০
বৃহস্পতিবার 

চুরাইবাড়ি প্রতিনিধিঃ উত্তর জেলার কদমতলা থানাধীন উত্তর হুরুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হরি শংকর চক্রবর্তী পেশায় একজন গাড়িচালক। গাড়ি চালিয়ে দীর্ঘ ২৫ বছর যাবত সংসার প্রতিপালন করে আসছেন তিনি। প্রতিদিনের মতো গতকালও রাত আনুমানিক আটটা থেকে সাড়ে আটটা নাগাদ নিজের TR05/2588 নম্বরের যাত্রীবাহী এপি অটোটি চালানো  শেষ করে বাড়ির সামনে ছোট একটি ঘরে গাড়িটি বন্ধ করে নিজ ঘরে চলে যান এবং রাতের খাবারের পর ঘুমিয়ে পড়েন। কিন্তু রাত আনুমানিক দুটো নাগাদ হরি শংকর চক্রবর্তী তীব্র আকারে বিকট শব্দে ঘুম থেকে জেগে উঠেন। প্রথমে চোর ভেবে খানিকটা ভয় পেয়ে নিজের ছেলেকে নিয়ে ঘর থেকে উঠোনে বের হয়ে দেখতে পান বাড়ির রাস্তার পাশে ঘরের ভেতরে থাকা নিজের অটো গাড়িটি দাউদাউ করে জ্বলছে। 


তখন চিৎকার চেঁচামেচি করলে আশপাশের জনগণ জড়ো হলেও ততক্ষনে অটোটি সম্পূর্ণরূপে ভস্মীভূত হয়ে যায়। উক্ত ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন কদমতলা থানার পুলিশ। তবে পুলিশ অটো গাড়ির মালিক হরি শংকর চক্রবর্তীর কাছ থেকে সম্পূর্ণ ঘটনাটি লিপিবদ্ধ করে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত কাউকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।এদিকে গাড়ির মালিক হরি শংকর চক্রবর্তী জানান, দীর্ঘ ২৫ বছর যাবত গাড়ি চালিয়ে সংসার প্রতিপালন করে আসছেন তিনি। 


আর এই গাড়িটি চার বছর পূর্বে ফাইন্যান্সের মাধ্যমে ক্রয় করেছিলেন। ফলে গাড়ির উপার্জনের উপর সংসারের পাঁচজনের পেটে দুবেলা ডালভাত পড়তো। তবে কিছুদিন পূর্বে উনার অটো গাড়িটি আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকা দরদামও হয়েছিল। কিন্তু গতকাল রাতের আঁধারে দুষ্কৃতিকারীর দল উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে উনার গাড়ি জ্বালিয়ে উনাকে সর্বশান্ত করে দিয়েছে। উনি জানান পাশের বাড়ির  জৈনক এক ব্যক্তির সাথে উনার পারিবারিক কিছু সমস্যা রয়েছে। সেই সমস্যা কদমতলা থানা অবধি গড়িয়েছিল কিন্তু কদমতলা থানার পুলিশ সেই সময় সুষ্ঠ তদন্তের নামে অশ্ব ডিম্ব প্রসব করেছিল। সেই ব্যক্তি হয়তো এ ধরনের জঘন্য কাজ সংঘটিত করেছে বলে উনার প্রাথমিক অভিযোগ।


অপরদিকে স্থানীয়দের বক্তব্য, দীর্ঘ দুই তিন বছর ধরে কেবা কারা পরিকল্পিতভাবে হরি শংকর চক্রবর্তীর সাথে নানাভাবে প্রতিহিংসামূলক বিভিন্ন ঘটনা ঘটাচ্ছে। বছর দুয়েক পূর্বে হরি শংকর চক্রবর্তীর বাড়ির সামনের পুকুর পারে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক যুবতীর লাশ গাছে ঝুলিয়ে রেখেছিল কে বা কারা। যা আজ পর্যন্ত পুলিশ তদন্ত করে আসছে। আবার গতকাল উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে প্রতিহিংসামূলক হরি শংকর চক্রবর্তীর শেষ সম্বল যাত্রীবাহী অটো গাড়িটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দিল। তাই স্থানীয়রাও পুলিশি তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের দাবি জানান।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu