কন্টেইনমেন্ট জোনে আবদ্ধ স্থানীয়দের খাদ্য সামগ্রী ও পানীয় জলের দাবিতে পথ অবরোধ - Sabuj Tripura News

সবুজ ত্রিপুরা
০৫ অগাস্ট ২০২০
বুধবার 

চুরাইবাড়ি প্রতিনিধিঃ উত্তর জেলার কদমতলা ব্লকাধীন সরসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২ নং ওয়ার্ডে বেশ কয়েকজন মানুষের শরীরে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ার পর ২ নং ওয়ার্ডকে ১৭ দিন পূর্বে সম্পূর্ণ কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করে রাখা হয়। বিগত ১৭ দিনে সরসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২ নং ওয়ার্ডের ৫২ পরিবারের ২১০ জন নাগরিক খাদ্য সামগ্রী ও পানীয় জলের সংকটে পড়ে যান। অবশেষে নিরুপায় হয়ে আজ ২ নং ওয়ার্ডের কন্টেইনমেন্ট জোনে থাকা স্থানীয় বাসিন্দারা কদমতলা-ব্রজেন্দ্রনগর ও কদমতলা-পিয়ারীছড়া পৃথক দুটি রাস্তা অবরোধ করে বসেন। 

তাদের দাবি দীর্ঘ ১৭ দিন যাবত সরসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২ নং ওয়ার্ডকে কন্টেইনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা দেওয়ার পর খাদ্য সামগ্রী ও পানীয় জলের তীব্র সংকটে ভুগছিলেন ওই এলাকার স্থানীয় জনগণ। কিন্তু সরকারি আধিকারিক ও সরকারের তরফ থেকে কোন ধরনের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়নি। অবশেষে নিরুপায় হয়ে আজ সরসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২ নং ওয়ার্ডের ৫২ পরিবারের ২১০ জন স্থায়ী বাসিন্দা সরসপুর স্কুল সংলগ্ন এলাকায় কদমতলা-পিয়ারী ছড়া ও কদমতলা-বজেন্দ্র নগর দুটি ব্যস্ততম সড়ক অবরোধ করে বসেন। 

সড়ক অবরোধের প্রায় ৩ ঘন্টা পর ঘটনাস্থলে ছুটে যান সরসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সচিব হিরণময় নাথ ও পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান। উনারা ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত অবরোধকারীদের সাথে কথা বলে আশ্বস্ত করেন যে, অতি শীঘ্রই উনাদের খাদ্যসামগ্রী ও পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার ক্রমে যাতে সমস্যা দূর করা যায় সে বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেন। পাশাপাশি আজ কদমতলা পঞ্চায়েত সমিতি হলে উত্তর জেলার জেলাশাসক মহকুমা শাসক সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা এক আলোচনায় সিদ্ধান্ত করেন যে, আজ বিকাল থেকে কোন ধরনের রেড জোন বা কন্টেইনমেন্ট জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হবে না। শুধু যে পরিবারের করোনা পজিটিভ রোগী চিহ্নিত হবে সেই পরিবারের বাকি সদস্যদেরকে হোম কোয়ারেইন্টানে রাখা হবে।

সুতরাং আজকে কদমতলা পঞ্চায়েত সমিতি হলে সিদ্ধান্ত হওয়া বিষয়গুলো অবরোধকারীদের কাছে তুলে ধরেন পঞ্চায়েত সচিব হিরণময় নাথ। ফলে উত্তেজিত পথ অবরোধকারীরা পঞ্চায়েত সচিব প্রধান ও উপ-প্রধানের আশ্বাসে আশ্বস্ত হয়ে অবশেষে তাদের পথ অবরোধ প্রত্যাহার করে। এখন দেখার বিষয় যেসব এলাকায় করোনা গণ সংক্রমন দেখা দেবে সেই সকল এলাকায় প্রশাসনিক নজরদারি কতটুকু তৎপর হবে। এদিকে  টানা তিন থেকে চার ঘণ্টা ব্যস্ততম দুটি পথ অবরোধের ফলে বেশ কিছু যানবাহন আটকা পড়ে সাথে কিছুটা যাত্রীর দুর্ভোগ দেখা দেয়।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu