ই-স্টাম্প দালাল চক্রের দাপটে নাজেহাল ধর্মনগরের জনগন - Sabuj Tripura News

সবুজ ত্রিপুরা
২৫ জুলাই ২০২০
শনিবার 


ধর্মনগর প্রতিনিধিঃ দীর্ঘদিন ধরেই ধর্মনগরে ই-স্টাম্পের অবৈধ ব্যবসা চলে আসছে।জায়গা, জমি, বিবাহ সহ  বিভিন্ন চুক্তিপত্রে  প্রয়োজনীয় ই-স্টাম্পের সংকট ধর্মনগরের নিত্য দিনের ঘটনা। মূলত একাংশ দালাল চক্র ইচ্ছে করে ই-স্টাম্পের সংকট তৈরি করে নায্য মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি মূল্যে ই-স্টাম্প  বিক্রি করে নিজেদের পকেট ভারি করছেন।

যদিও কিছু দিন পূর্ব থেকে সরকারি নির্দেশেই ত্রিপুরা কো- অপারেটিভ ব্যাংকের ধর্মনগর শাখা থেকে ই-স্টাম্প দেওয়ার ব্যাবস্থা করা হয়।  তবে তাতে প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়েই  দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে প্রয়োজনীয়  ই-স্টাম্প সংগ্রহ করতে হয়।কিন্তু এরিমধ্যে বর্তমান সরকারের উদ্যোগে জনগণের সুবিধার্থেই বিগত ২৫ জুন ধর্মনগর জেলা শাসক কার্যালয়ের ধারে ধর্মনগরের পুরনো ডিড রাইটার অফিসে স্টোক হোল্ডিং ব্রাঞ্চ এর মাধ্যমে ই--স্টাম্প বিক্রির কাউন্টারের  উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধন করেন রাজ্য বিধানসভার উপাধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন। এই কাউন্টারের ভেন্ডিং লাইসেন্স পান পান্না লাল শর্মা। তিনি আবার শাসক দলের রাজ্য কমিটির সদস্য। কিন্তু লক্ষ্য করা যায়  উদ্বোধনের এক মাস হতে না হতেই সরকারি লাইসেন্স প্রাপ্ত এই ই-স্টাম্প  কাউন্টার থেকে অবৈধভাবে সরকারি ন্যায্যমূল্যের চেয়েও অনেক বেশি মূল্যে ই-স্টাম্প  বিক্রি করা হচ্ছে।যদিও  বেশ কিছুদিন যাবৎ এর আভাস পাওয়া  যাচ্ছিল। কিন্তু শুক্রবার ই-স্টাম্প কাউন্টারে বসে নায্যমূল্য থেকে বেশি দামে ই-স্টাম্প বিক্রি করতে গিয়ে এক স্টাম্প ক্রেতার প্রতিবাদে  নড়েচড়ে বসে সরকারি বরাত প্রাপ্ত ই-স্টাম্প লাইসেন্স প্রাপক পান্না শর্মা। 

জানাগেছে জনৈক  এক ব্যক্তি শুক্রবার সকালে স্টাম্প কাউন্টারে ম্যারেজ সার্টিফিকেট এর জন্য একটি ১০ টাকার ই-স্ট্যাম্প ক্রয় করতে আসেন। কিন্তু কাউন্টার থেকে  ১০ টাকার ই-স্টাম্পের সাথে সার্ভিস চার্জ আরো দশ টাকা মিলিয়ে মোট ২০  টাকার পরিবর্তে ৩০ টাকা দাবি করা হয়। এতে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে ওঠে সেই ক্রেতা। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি ধর্মনগরের  মহকুমা শাসক  কমলেশ ধরকে  জানানো হয়। মহকুমা শাসক  অভিযোগকারী কে সঙ্গে নিয়ে  এক ডিসি কে স্টাম্প কাউন্টারে পাঠালে। কাউন্টারের ম্যানেজার তার ভুল স্বীকার করে নেন।  



ডিসির তরফে জানানো হয়  আগামীতে এভাবে অবৈধ হবে ন্যায্য মূল্যের চাইতে অধিক দামে স্টাম্প বিক্রি করলে লাইসেন্স  বাতিল করে দেওয়া হবে। তাথেকে স্পষ্ট হচ্ছে ই-স্টাম্পের চাহিদা পূরণে  সরকারের সদিচ্ছা থাকলেও  কিছু সংখ্যক দালালচক্রের কারণেই সাধারণ মানুষদের হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu