ধর্মনগর প্রতিনিধিঃ অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে উত্তাল ধর্মনগর কামেশ্বর এলাকা। বর্তমানে ধর্মনগর কামেশ্বর এলাকায় চাঞ্চল্য বিরাজমান। ঘটনার বিবরণে জানা যায় বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ৮•৩০ মিনিট নাগাদ ধর্মনগর কামেশ্বর এলাকায় মিন্টু শুক্লবৈদ্য ও পিন্টু শুক্লবৈদ্য নামে দুই যুবকের সাথে ধর্মনগর রাজবাড়ী দুর্গাপুর এলাকার মোঃ সৈয়দ মিয়ার স্ত্রী ও পুত্রদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। দু'পক্ষেই লাঠি-ঝাটা সহ ধারালো অস্ত্র দিয়েই সংঘর্ষে লিপ্ত হন। এ সংঘর্ষে একটি মারুতি অলটো গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
এদিকে কামেশ্বর এর বাসিন্দা মিন্টু শুক্লবৈদ্য ও পিন্টু শুক্লবৈদ্য জানিয়েছেন আচমকাই রাত সাড়ে আটটা নাগাদ মহিলা তার পুত্রদের সহ তাদের উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে আসলে তারা প্রাণে বাঁচতে চিৎকার শুরু করে । তাদের চিৎকার শুনে এলাকাবাসী দৌড়ে এসে তাদের বাঁচায়। তখনই উত্তেজিত এলাকাবাসী আক্রমণকারীদের আনা গাড়িটি ভাঙচুর করেন। অপরদিকে আহত মহিলা জানান কামেশ্বর এর এই মিন্টু ও পিন্টু দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধ মদের কারবারের সাথে জড়িত। এই মহিলার স্বামী মোঃ সৈয়দ মিয়া প্রতিনিয়ত তাদের বাড়িতে এসে মদ সেবন করেন।
মহিলা বহুবার মিন্টু-পিন্টুকে অনুরোধ করেছে ওনার স্বামীর কাছে মদ বিক্রি না করতে। তথাপি তারা অর্থের লোভে সৈয়দ মিয়ার কাছে মদ বিক্রি করেন। মহিলা আরো জানান বৃহস্পতিবার মহিলা বাড়ির ইলেকট্রিক এর বিল দেওয়ার জন্য বন্ধন ব্যাংক থেকে ১০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। কোন ভাবে মহিলার স্বামী তা জানতে পেরে গোপনে সেই ১০ হাজার টাকা নিয়ে কামেশ্বর এর মিন্টু পিন্টুর বাড়িতে মদ খেতে এসে টাকা গুলো দিয়ে যায়। পরক্ষণেই মহিলা তা জানতে পেরে তাদের কাছে সেই ১০ হাজার টাকা ফিরে পাওয়ার আশায় চাইতে এলে মিন্টু-পিন্টু বেশ কয়েকজন মিলে মহিলা ও মহিলার পুত্রের ওপর আক্রমণ করেন।
এই ঘটনা জানতে পেরে মহিলার পুত্রের এক বন্ধু আহত মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে গাড়ি নিয়ে এলে। কামেশ্বরের স্থানীয় জনগণ তাকেও মারধর করে তার গাড়ি ভাঙচুর করে। এভাবেই বৃহস্পতিবার গভীররাত পর্যন্ত এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অভিযোগের ওপর পাল্টা অভিযোগ চলতে থাকে। তবে পুলিশ তদন্তে নেমেছে। অনুমান করা হচ্ছে ঘটনার পেছনে অন্য কোনো রহস্য রয়েছে। বর্তমানে এটাই দেখার বিষয় পুলিশি তদন্তে কি বেড়িয়ে আসে।
0 মন্তব্যসমূহ