নিজ বাড়িতে ড্রাগন ফল চাষ করে লাভবান উত্তর জেলার নোয়াগাঙ্গের রুবেন রাংলং - Sabuj Tripura News

সবুজ ত্রিপুরা
২ জুলাই, ২০২০
বৃহস্পতিবার

চুরাইবাড়ি প্রতিনিধিঃ চাকরি জীবনে কৃষকদের সাথে থেকে কৃষিকাজে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজ বাড়িতে ড্রাগন ফল চাষ করে বেশ লাভবান রুবেন রাংলং নামের এক ব্যক্তি। উত্তর জেলার নোয়াগাঙ্গ এডিসি ভিলেজের স্থায়ী বাসিন্দা রুবেল রাংলং নিজের চাকরি জীবনে আইজল এবং ঊনকোটিতে কৃষকদের সাথে বেশ কয়েক বছর থাকার পর কৃষকদের কৃষিকাজে অনুপ্রাণিত হয়ে সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে  ৪ বছর পূর্বে নিজ বাড়িতে ১০০ টি ড্রাগন ফলের চারা লাগিয়ে ড্রাগন চাষ শুরু করেন। কোন সরকারি সাহায্য ছাড়াই নিজ উদ্যোগে শুরু করেন ড্রাগন ফলের চাষ। এক ফুট থেকে দেড় ফুট সাইজের ড্রাগন ফ্রুটের চাড়া গুলি আইজল থেকে কিনে এনে প্রথমবারের মতো ড্রাগন চাষ শুরু করেন। 

চারা লাগানোর দেড় বছরের মাথায় ১০/১২ কেজি ড্রাগন ফল উৎপাদন করেন। তার পরের বছর অতি মূল্যবান ড্রাগন ফলের ভালো ফলন পান স্থানীয় রুবেন রাংলং। রুবেন রাংলং ড্রাগন ফলের পাশাপাশি ড্রাগন ফলের চারা চাষ করেন। এই মৌসুমে প্রায় ১২ হাজার টাকার ড্রাগন ফলের চারা বিক্রি করেছেন বলে জানান ড্রাগন চাষি রুবেন রাংলং। এক সাক্ষাৎকারে ড্রাগন ফুট চাষী রুবেন রাংলং বলেন, উনি প্রথমে বেশ কিছু ড্রাগন ফলের চারা কিনে চাষ করেছিলেন শুধুমাত্র ড্রাগণ ফলের ফলন উত্তর জেলার মাটি ও আবহাওয়ার সাথে খাপ খায় কি না তা উপলব্ধি করার জন্য। প্রথমে তেমন ফল না পেলেও তার পরের বছর থেকে বেশ ভালো ড্রাগন ফলের ফলন পাওয়া শুরু করেন। তার সাথে ড্রাগন ফলের চাড়া করে বিক্রি করেন আর তাতে অনেকটা লাভবান বলেও জানান ড্রাগন চাষি রুবেন। 

উনি বললেন উন্নত ড্রাগণ ফলের পিক সিজন হলো জুলাই থেকে অক্টোবর মাস। আর ড্রাগণ গাছে ফুল দেওয়া থেকে ৪৫ দিনের ভেতর ড্রাগণ ফল সম্পূর্ণভাবে বাজারজাত বা খাবারের উপযোগী হয়ে উঠে। পাশাপাশি উনি আরো বলেন, ড্রাগন ফল হলো হেলথি ফল ও ইন্টার্নেশনাল ফল। যেমন এন্টি ক্যান্সার, এন্টি ডায়াবেটিস, ভিটামিন ই, ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ফল। 

তাছাড়া উনার ড্রাগন ফল চাষের মূল লক্ষ্য হলো, পাহাড়ি অঞ্চলে মানুষ রাবার চাষ করে যতটুক লাভবান হচ্ছেন তার চেয়ে দ্বিগুণ লাভবান হতে পারেন ড্রাগন ফল চাষ করে। তার জন্যই উনি উনার বাড়িতে ড্রাগণ ফল চাষ শুরু করেন। উনার ড্রাগন ফুট চাষ করার পর উনার কাছ থেকে ড্রাগন ফলের চাড়া কিনে মানুষ ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করেছেন বলেও তিনি জানান। ড্রাগন চাষী রুবেন বাবু আরো জানান, যদি কোন বেকার যুবক ধৈর্যের সহিত ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ড্রাগন চাষ করতে পারেন তাহলে অনায়াসে জীবিকা নির্বাহ করা সম্ভব। পাশাপাশি বেকার যুবক ও পাহাড়ি অঞ্চলের পড়ে থাকা খালি জায়গা গুলিতে সাধারণ জনগণ যাতে ড্রাগন ফলের চাষ করেন তার আহ্বান রাখেন ড্রাগন ফলএর চাষী রুবেন রাংলং।

ছবিঃ কিশোর রঞ্জন হোড়

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu