সরকারকে বদনাম করার জন্য চাকরি দেওয়ার ধাপ্পাবাজি চালাচ্ছে কিছু অসাধু সংস্থা - Sabuj Tripura News

সবুজ ত্রিপুরা
১৬ জুলাই ২০২০
বৃহস্পতিবার        

পানিসগার প্রতিনিধিঃ করোনা ভাইরাসের আক্রমণে গোটা দেশ আজ  কঠিন সমস্যার  সম্মুখীন এবং দীর্ঘ লকডাউন থাকায় হাজার হাজার মানুষ হারিয়েছে কর্মসংস্থান। ফলে বেকারত্বের জ্বালায় মানুষ এখন জর্জরিত। তার মধ্যে চাকরি দেওয়ার নাম করে বেকারদের প্রতারিত করে চলছে কিছু অসাধু ধাপ্পাবাজ সংস্থা। এমনই এক ঘটনা ঘটলো উত্তর ত্রিপুরা জেলার পানিসাগর মহকুমার অন্তর্গত জলাবাসা এলাকার  ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কৃষক প্রবীর মালাকার এর শিক্ষিত বেকার ছেলে  প্রীতম মালাকার এর সাথে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়  বেকার যুবক প্রীতম মালাকার গত ১৪ জুলাই মঙ্গলবার সকালে জলাবাসা পোস্ট অফিস এর কর্মী মারফত নিজ নামাঙ্কিত একটি স্পিড পোস্ট চিঠি প্রাপ্ত হন। প্রথম অবস্থায় সেটি কোন এডুকেশন ট্রেনিং কল লেটার হবে বলে মনে করেন। কিন্তু চিঠিটি পড়ার পর দেখতে পান যে  মিনিস্ট্রি অফ দা লো অ্যান্ড জাস্টিস গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া,  ফাইল নং-98/9/TDC/2020, Date- 30-July2020, নিউ দিল্লি থেকে শৈলেশ আহুজা, সেকশন অফিসারের  নামে স্বাক্ষরিত। 

কিন্তু চিঠিটি ভালো ভাবে সম্পূর্ণ পড়ার  পর দেখতে পান যে শর্ত মোতাবেক চিঠিতে লিখিত  যোগাযোগ  ০৭৫৩৩৮৩৭৯৩৪ নম্বর এ একটি এস এম এস সেন্ট করার পর  ১২ ঘন্টার মধ্যে ড্রিমান্ড ড্রাফট এ ১৪,৫০০ টাকা জমা দিতে বলা হয়েছে এবং অন্যথায় চাকরি থেকে বঞ্চিত করা হবে। তাছাড়া শর্ত গুলিতে এমন  প্রকার  লিখা থাকার কারণে প্রীতম মালাকারের মনে সন্দেহ সৃষ্টি হতে থাকে। তার পর শুরু হয় লিখিত নাম্বারে কথা বলা এবং উক্ত লেটারের জোর তল্লাশি। তাতে জানতে পারেন যে উনার সাথে সাথে ত্রিপুরার বিভিন্ন জায়গায় বেকার যুবক যুবতীরা ঠিক এমনই সরকারি অ্যাপার্টমেন্ট লেটার পেয়েছেন তাছাড়া উনি প্রাথমিক তদন্ত করে বুঝতে পারেন যে আদৌ বিষয়টি পুরোপুরি ধাপ্পাবাজি এবং বেকার যুবক ভাইদের কাছ থেকে অর্থ উপার্জনের একটি কৌশল। 

এমতাবস্থায়  সংবাদ মাধ্যমের মারফতে প্রীতম মালাকার ত্রিপুরার সমস্ত বেকার যুবক ভাই বোনদের কে সতর্ক বার্তা দিতে চান যে বর্তমান ভারত সরকারকে বদনাম করতে এবং মিনিস্ট্রি অফ দা লো অ্যান্ড জাস্টিস এর নাম করে যে বা যাহারা এমন অবৈধ অর্থ উপার্জনের ফাঁদ পেতেছেন তা থেকে সতর্ক থাকার জন্য। তৎসঙ্গে সরকার মহোদয়ের কাছে আবেদন রাখেন যারা চাকরি দেওয়ার  নাম করে অবৈধ ব্যবসার ফাঁদ পেতেছে, তদন্ত করে তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য। এখন দেখার বিষয় প্রীতম মালাকার সহ ত্রিপুরার অন্যান্য যুবক ভাইদের সাথে সরকারি চাকরির নামে যে অবৈধ ব্যবসা চলছে,  তার সুষ্ঠ তদন্ত করে কি প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu