সবুজ ত্রিপুরা,
৬ জুন, ২০২০
শনিবার
রাজ্যে নথিভুক্ত বেকারের সংখ্যা ১ লক্ষ ৯০ হাজার ২৭৮ জন। ৩১ মে, ২০২০ পর্যন্ত ন্যাশনাল ক্যারিয়ার সার্ভিস (এন সি এস) পোর্টাল রাজ্যে যারা নাম নথিভুক্ত করেছেন তার ভিত্তিতেই এই হিসাব। শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুসারে চাকরি পাওয়ার জন্য এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জের নাম নথিভুক্ত করার পদ্ধতি ২০১৬ সাল থেকে পরিবর্তন আনা হয়েছিলাে। আগে এই প্রক্রিয়া অফলাইনে করা হতাে এবং কার্ডের বৈধতা থাকতাে তিন বছর। পরে ঐ কার্ড নবীকরণ করতে হতো। কিন্তু ২০১৬ সালের ৩০ এপ্রিল রাজ্যে এন সি এস পোর্টাল চালু করার পর থেকে অনলাইনে নাম নথিভুক্ত করার পদ্ধতি চালু হয়। তখন থেকে ৩১ মে, ২০২০ পর্যন্ত ন্যাশনাল ক্যারিয়ার সার্ভিস পোর্টাল রাজ্যের ১ লক্ষ ৯০ হাজার ২৭৮ জন বেকারের নাম নথিভুক্ত করেছেন বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
রাজ্যের মডেল ক্যারিয়ার সেন্টারের মাধ্যমেই নাম নথিভুক্তকরণ প্রক্রিয়া চলে। তিনি জানান এই পদ্ধতিতে নাম নথিভুক্ত করার ২ বছরের প্রােফাইল খুলে দেখতে হয় কোথায় কি সুযােগ রয়েছে। না হলে প্রার্থীর রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে যায়। শিক্ষামন্ত্রী জানান, এন সি এস পোর্টালে দেওয়া তথ্য অনুসারে রাজ্যে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত বেকার রয়েছেন ৯৭৩৭ জন, নবম পর্যন্ত বেকার ১৮,০৭৪ জন, দশম মান পথ।৫৪,৩৮৩ জন একাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ১,৬৫৯ জন, দ্বাদশ পর্যন্ত ৫০, ৪৩৩ জন, মাধ্যমিকের। পর ডিপ্লোমা হোল্ডার বেকার ১,৯২৫ জন, দ্বাদশ এর পর ডিপ্লোমা হােল্ডার বেকার ২,০২১ জন, স্নাতক ৪০,৪৪৫ জন, স্নাতকোত্তর ১০,০৬৫ জন, পি এইচ ডি হােন্ডার বেকার জন, আই টি আই ১৭৬ জন, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা হোল্ডার ৪৪ জন। এছাড়াও কিছু বেকারের নাম পােটালে রয়েছে যাদের শিক্ষাগত যােগ্যতার বিষয়ে স্পষ্ট উল্লেখ নেই বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।শিক্ষামন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠার পর ৩,০৯৬টি নিয়মিত পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন দপ্তরে ৬৮৪টি পদে নিয়োগ করা হয়েছে। ডাই-ইন-হারনেসে নিয়ােগ করা হয়েছে ৬৩০ জন। তিনি জানান, শিক্ষা দপ্তরে টেট, এসটিজিটি ও এসটিপিজিটি পরীক্ষার মাধ্যমে ১,৮২৭ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়াও চুক্তিবদ্ধ এবং আউটসােসিং পদ্ধতিতেও বেশ কিছু পদে লোক নিয়োগ করা হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ