১৭ জুন, ২০২০
বুধবার
চুরাইবাড়ি প্রতিনিধিঃ কিছুদিন যাবৎ বদরপুর লামডিং এর মধ্যে হাফলং এলাকার মুফা-কালাচাদের মধ্যে মাটি ধ্বসের কারনে রাজ্যের সাথে অসমের রেল পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়াতে অবশেষে সড়কপথে বহি রাজ্যে আটকে থাকা রাজ্যের মানুষকে নিজ ভূমিতে ফিরিয়ে আনল রাজ্য সরকার।
গতকাল বেঙ্গালুর ফেরত প্রায় ২৫০-২৭০ জন যাত্রী রাজ্যে প্রবেশ করেন। ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকার জন্য সকল যাত্রীদের ব্যাঙ্গালোর থেকে প্রথমে গোহাটি রেল স্টেশন তারপর গোহাটি থেকে বাসে করে রাজ্যের প্রবেশদ্বার চুড়াইবাড়ীতে নিয়ে আসা হয় ত্রিপুরা সরকারের তত্ত্বাবধানে।তারপর সেখান থেকে উত্তর ও ঊনকোটি জেলার যে সকল বেঙ্গালুরু ফেরত যাত্রী রয়েছেন তাদেরকে সোয়াব টেস্টের পর চুড়াইবাড়ী স্তিত খেরেংজুরি জহর নবোদয় বিদ্যালয়ে ফ্যাসিলিটি কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়।
আর যে সকল যাত্রীরা অন্য জেলার বাসিন্দা তাদেরকে ঐ সকল জেলার পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকদের তত্ত্বাবধানে নিজ নিজ জেলাতে নিয়ে সোয়াব টেস্টের পর ফ্যাসিলিটি কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। তবে রাজ্যের প্রবেশদ্বার চুড়াইবাড়ী থেকে নিজ নিজ জেলাতে যাওয়ার ক্ষেত্রে সকল যাত্রীদের নিজের পকেটের টাকা দিয়ে যেতে হচ্ছে। যদি কোন যাত্রী গাড়ি ভাড়া দিতে অক্ষম তাদেরকে সরকারিভাবে সম্পূর্ণ সাহায্য করা হচ্ছে বলে জানান ধলাই জেলার ডিসি নবব্রত দত্ত।
বিশেষ করে গতকাল বেঙ্গালুরু ফেরত যাত্রীদের মধ্যে সর্বাধিক ছিল ধলাই জেলার বাসিন্দা। তবে সকল জেলার যাত্রীদেরকে নিজ নিজ জেলার প্রশাসনের তরফ থেকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। অনেক ব্যাঙ্গালোর ফেরত যাত্রীরা আবার অভিযোগ করে বলছেন, দীর্ঘদিন ব্যাঙ্গালুরে আবদ্ধ থাকার পর ত্রিপুরা সরকারের সহযোগিতায় প্রথমে ট্রেনে করে তারপর বাসে করে রাজ্যের প্রবেশদ্বার চুড়াইবাড়ী এসেছেন। কিন্তু সকাল থেকে সোয়াব টেস্টিংয়ের লাইনে দাঁড়িয়ে রাত্র হয়ে গেলেও উনাদের ভাগ্যে খাবার জোটেনি। বিগত তিন চারদিন রাস্তাতে থাকার জন্য উনারা ভালোভাবে খেতে পারেননি অনেকে বলছেন উনাদের কাছে যেসকল টাকা-পয়সার ছিল সব ফুরিয়ে গেছে। এবং উনারা আরও জানান যে বেঙ্গালুরের বিভিন্ন জায়গায় রাজ্যের জনগণ আবদ্ধ থাকার পর রাজ্য সরকার যেভাবে উদ্যোগ নিয়ে রাজ্যের মানুষদের ফিরিয়ে এনেছেন তাতে রাজ্য সরকারের ভূমিকাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকল যাত্রীরা।
0 মন্তব্যসমূহ