ত্রিপুরার অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তাঁত শিল্প বিশেষ ভুমিকা নিতে পারে


সবুজ ত্রিপুরা, তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধি, ১৬ মেপ্রধানমন্ত্রী দেশিও অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সারাদেশের স্থানীয় বস্তু সামগ্রী উৎপাদন বাড়াতে ও ব্যবহারের করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান করেছেন। আর আমাদের ছোট্ট ত্রিপুরা রাজ্যের গ্রাম পাহাড়ের একাংশ জনজাতি রমণীদের হাত ধরে অতি প্রাচীন কাল থেকেই চলে আসছে তাঁত বোনার কাজ। ত্রিপুরা রাজ্যের  তাঁত শিল্প একটি প্রসিদ্ধ প্রাচীন শিল্প।

আর এই তাঁত শিল্পের সঙ্গে জড়িত আছেন তেলিয়ামুড়ার অন্তর্গত মুঙ্গিয়াকামি থানা এলাকার রাইহামছা পাড়ার অধিকাংশ উপজাতি রমনীরাও। এই রাইহামছা পার্বত্য এলাকায় সংবাদ প্রতিনিধিদের চোখে ধরা পড়ল এমনই এক বিলুপ্ত প্রায় শিল্পের চিত্র যা শহরাঞ্চলে আজ দেখাই পাওয়া যায় না। মুঙ্গিয়াকামির রাইহামছা পাহাড়ি এলাকায এক উপজাতি রমনীর সাথে কথোপকথনের মাধ্যমে জানা গেছে যে ঐ এলাকার এমন বহু রমনী আছেন যারা ওই হস্ত তাঁত শিল্প তৈরি করে আসছের বছরের পর বছর ধরে। 
রাইহামছা পাহাড়ি এলাকার এক উপজাতি রমনী মালতি রিয়াং জানান যে এই গ্রামের মহিলাদের দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য যে সমস্ত তাঁত কিংবা পাছরা প্রয়োজন তা নিজেরাই তৈরি করে নেয়। ফলে পরিবারের দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে স্বনির্ভর এই জনজাতি পাড়া। শুধু মাত্র সুতো সহ যাবতীয় দ্রব্য সামগ্রী আসে পাশের বাজার থেকে কিনে আনতে হয়। যদিও তাদের এই তাঁত তৈরির উপর পরিবার নির্ভরশীল নয়। মালতি রিয়াং জানান বর্তমান রাজ্য সরকার যদি তাদের প্রতি একটু নজর দেয় তাহলে এই বিলুপ্ত প্রায় হস্ত তাঁত শিল্প সংস্কৃতি পুনরায় সমৃদ্ধি হবে এবং প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে ত্রিপুরার জনগণের দৈনন্দিন চাহিদা মেটান সম্ভব হবে এবং রফতানি করেও রাজ্যের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা সম্ভব।





একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu