অতিথি শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তন শুরু, হাজাছড়া থেকে ৩৬ পরিবার ফিরছে স্বভূমিতে


সবুজ ত্রিপুরা, পানিসাগর প্রতিনিধি, ০৩ অক্টোবর : ১৯৯৭ সাল। পার্শ্ববর্তী রাজ্য মিজোরাম থেকে প্রাণের দায়ে স্বভূমি ছেড়ে উত্তর ত্রিপুরা জেলার কাঞ্চনপুর মহকুমায় অনেক ব্রু শরণার্থীরা এসে আশ্রয় নেয়। কাঞ্চনপুরে তিনটি উদ্বাস্তু শিবিরে এদের মাথা গোঁজার জায়গা মেলে। আজ ৩ অক্টোবর এই শরণার্থী শিবিরগুলোর মধ্য থেকে মহকুমার আনন্দবাজার এলাকার হাজাছড়া শিবির থেকে মিজোরামের স্বভূমিতে ফিরে যাচ্ছেন।

জানা গেছে যে, ব্রু শরণার্থীরা মিজোরামের লুংলে জেলার তাদের গ্রামে এদিন ফিরে যাচ্ছে। মিজোরাম সরকার পরিবার প্রতি জরিপ অনুসারে একটি রিফাটেশন সার্টিফিকেট বা খণ্ডন শংসাপত্র প্রদান করেন। মিজোরাম থেকে আগত প্রশাসনিক সংযোগাধিকারিক শ্রী লাল চুয়ান হিমা তাদের লুংলে জেলার ১নং-এ নিয়ে যাচ্ছেন। কাঞ্চনপুর মহকুমার প্রশাসন সংবাদমাধ্যমকে জানান যে, হাজাছড়া ভারপ্রাপ্ত শিবির অধিকর্তা শ্রী বরুণ জয় রিয়াং ১৮৩ সদস্য সংখ্যক ৩৬টি পরিবারকে তাদের জন্মভূমিতে ফিরে যেতে সাহায্য করছেন।

এই ব্রু শরণার্থীদের মধ্য থেকে দুজন ব্যক্তি লাল রিংতোয়ঙ্গা রিয়াং এবং দিন হেথা রিয়াং-কে তাদের স্বভূমি প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তারা জানান যে, খুশিমনেই তারা নিজভূমে ফিরে যাচ্ছেন, কারণ তারা বুঝতে পেরেছেন বর্তমানে তারা যেখানে রয়েছেন, এখানে তাদের কোনও ভবিষ্যৎ নেই। এ বিষয়ে কাঞ্চনপুরের মহকুমাশাসক শ্রী অভেদানন্দ  বৈদ্য-এর কাছে সাক্ষাৎকার চাইলে, তিনি কার্যত কথা বলতে অস্বীকার করেন। গোপন সূত্রের খবর যে, অন্যান্য শিবির গুলি থেকে হাজাছড়া শিবিরে এসে বাধা দেওয়া হচ্ছে, যাতে ব্রু শরণার্থীরা নিজেদের স্বভূমিতে ফিরে না যায়।

আজ শরণার্থী প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে উত্তর জেলার অনেক প্রশাসনিক আধিকারিকরা যথা - উত্তর ত্রিপুরা জেলাশাসক শ্রী রাভেল হেমেন্দ্র কুমার, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ অধীক্ষক শ্রী ফ্রান্সিস ডার্লং, কাঞ্চনপুর মহকুমাশাসক শ্রী অভেদানন্দ বৈদ্য, কাঞ্চনপুর মহকুমা পুলিশ কর্মকর্তা  শ্রী বিক্রমজীৎ শুক্লদাস। এছাড়াও মিজোরাম থেকে আগত প্রশাসনিক আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন ।

 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu