সবুজ ত্রিপুরা, পানিসাগর প্রতিনিধি, ১৬
অক্টোবর : বৈদ্যুতিন মাধ্যম ও সংবাদপত্রের ক্রমাগত
খবর প্রকাশের ফলে অবশেষে খুঁজে পাওয়া গেল নিরুদ্দেশ কিশোরকে। ১৪ দিন পূর্বে নিরুদ্দেশ
হয় ফারুক মিয়া নামে এক কিশোর। গতকাল ১৫ ই অক্টোবর কলমের শক্তি এবং ধর্মনগরের একটি বৈদ্যুতিক
চ্যানেল নিউজ বাংলায় প্রচারিত সংবাদের জেরে উত্তর জেলার পানিসাগর এলাকায় শেষ
পর্যন্ত তার হদিস মিলল।
ঘটনার
বিবরনে যানা যায় যে, প্রায় ১৪ দিন পূর্বে পশ্চিম ত্রিপুরার কমলাসাগর এলাকার পাতারিয়াদ্বার
গ্রামের সেমেদ মিয়ার পুত্র অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ফারুক মিয়া(১৪) কাউকে কোনও কিছু না
জানিয়ে বাড়ি থেকে স্কুলে যাবার নাম করে পালিয়ে যায়। অনেক খুঁজে না পেয়ে তার
পরিবারের লোকজন মধুপুর থানাতে একটি মিসিং ডায়েরি করান।
সম্প্রতি
কিশোরটিকে উদ্ধার করার পর ওর সাথে কথা বলে জানা যায় যে, প্রথমে সে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে
আগরতলায় চলে যায় এবং পরে ট্রেনে করে সোজা চলে যায় শিলচরে। সেখান থেকে একটি ট্রাকগাড়ি
করে পুনরায় রাজ্যে চলে আসে। তবে সঠিক জায়গা চিনতে না পারায় ঘুরতে ঘুরতে পানিসাগর মোটরস্ট্যান্ড
এলাকায় রাত্রিযাপন করে। পরদিন সকালে ঐ এলাকায়
দীনদয়াল সামাজিক সংস্থার দুর্গাপূজা উপলক্ষে আয়োজিত ভানুসার্কাসে গিয়ে সে একটি ঘোড়া
দেখতে পেয়ে সেখানে ছুটে যায়। সার্কাস কর্তৃপক্ষ ছেলেটিকে নাবালক দেখেও তাদের কাছে
রেখে দেয়। ফারুক জানায় যে, কোনও টাকাপয়সার বিনিময়ে তাকে সেখানে রাখা হয়নি।
ঐ
যায়গা থেকে একশ মিটার দূরত্বের মধ্যেই রয়েছে পানিসাগর থানা এবং শ্রমদপ্তরের কার্য্যালয়।
সার্কাস কর্তৃপক্ষ বিষয়টি কার দৃষ্টিগোচরে বিষয়টিকে নিয়ে গেল না। এমনকি দীনদয়াল সংস্থার কর্তৃপক্ষকে পর্যন্ত জানানো প্রয়োজন
মনে করলেন না। তবে কি উদ্দেশ্যে নিয়ে সার্কাস কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সবাইকে এরিয়ে গেল তা
সহজেই অনুমেয়। এমতাবস্থায় পানিসাগর মোটরস্ট্যান্ডের
ম্যানেজার বিষয়টি নিউজে প্রতক্ষ করেন এবং সাথে সাথে নিখোঁজ কিশোরের ছবির সাথে মিলিয়ে
দেখে হুবহু মিল খুঁজে পান। এরপর ছেলেটিকে জিজ্ঞাসা করতেই বেরিয়ে আসে মূল সত্য
সামনে চলে আসে। তড়িঘড়ি করে পানিসাগর মোটর শ্রমিক কর্মীরা ছেলেটিকে পানিসাগর থানাতে
নিয়ে যায়। থানাতে গিয়ে ছেলেটি সবিস্তারে সব কথা খুলে বলে। ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হতেই
মধুপুর থানার সাথে যোগাযোগ করে ছেলেটির বাড়ির লোকজনদের সাথে কথা বলা হয়।
শেষ
খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গেছে যে, আজ সকালেই ছেলেটির বাড়ির লোকজন পানিসাগর থানাতে এসে
তাকে নিয়ে গেছেন।
সংবাদ প্রতিনিধি : রমাকান্ত দেবনাথ
0 মন্তব্যসমূহ