পূজোর প্রাক্কালে অগ্নিকান্ডের ফলে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি পানিসাগর বাজারে

সবুজ ত্রিপুরা, পানিসাগর প্রতিনিধি, ২৯ সেপ্টেম্বর : গতকাল রাত্রি আনুমানিক ২:৫০ মিনিট নাগাদ পানিসাগর বাজারে ট্রাফিক পয়েন্ট সংলগ্ন রেগুলেটেড মার্কেটের প্রবেশপথে তিনটি দোকানে আকস্মিক ভাবে আগুন লেগে সম্পূর্ণ ভষ্মীভূত হয়ে যায়। ফলে দোকানঘরের মালিকদের বিপুল পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, গতকাল রাতে আচমকাই আগুন লাগে এই দোকানগুলোতে। এদের মধ্যে একটি ষ্টেশনারী দোকান, যার মালিক রমেশ নাথ, পিতা মৃত বিপিন নাথ, বাড়ি অগ্নিপাসা। উনার দোকানের মোট ক্ষতির পরিমাণ ৪লাখ টাকা । অপর দোকানের মালিক সজল নাথ, পিতা মৃত কানাই নাথ, বাড়ি বড় বাড়ি, জলাবাসা, যার মোট ক্ষতির পরিমাণ ৮ লাখ টাকা। তৃতীয়জন হলেন ফল ব্যবসায়ী কৃষ্ণপদ দাস, পিতা মৃত নগেন্দ্র দাস, বাড়ি পানিসাগর নগর পঞ্চায়েতের ৫ নং ওয়ার্ডে; উনার মোট ক্ষতির পরিমাণ ১ লক্ষ টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত হয় দোকানভিটের মালিকেরা হলেন প্রয়াত মনিন্দ্র চৌধুরী এবং মদন মোহন নাথ।
ঘটনার সময় পানিসাগর বাজারস্হিত স্পোর্টস ক্লাবের সদস্যরা আসন্ন শারদীয়া পূজা উপলক্ষে কাজকর্মে ব্যস্ত ছিলেন। হঠাৎ করে পাহারাদারের চিৎকার শুনতে পেয়ে তারা ছুটে এসে দেখতে পান যে, তিনটি দোকানে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। সাথে সাথে ফোন করা হয় পানিসাগর ফায়ার সার্ভিসে। এদিকে ক্লাবের সদস্য গৌরাঙ্গ দাস বাইক নিয়ে তাড়াতাড়ি ফায়ার সার্ভিসে যাওয়ার পর সাথে সাথেই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দমকলের দুটি ইন্জিন নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং কিছু সময়ের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। তবে দোকানগুলোকে ক্ষতির হাত থেকে বাছানো সম্ভব হয় নি। খবর পেয়ে ছুটে আসেন পানিসাগর থানার পুলিশ এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখেন।
এলাকাবাসিদের অভিযোগ, প্রায় সময়ই পানিসাগর বিদ্যুৎ বিভাগের মান্ধাতা আমলের ল্যান্ডফোনটি অকেজো অবস্থায় থাকে, এমনকি অনেক সময় ফোনের রিসিভার উঠিয়ে রেখে দেওয়া হয়। এছাড়াও পানিসাগর বাজার এলাকায় ব্যবহৃত জলের উৎস নিয়ে গভীর চিন্তায় এলাকাবাসী। যদিও পানিসাগর পঞ্চায়েত সমিতির অফিস সংলগ্ন এলাকায় একটি ফিসারি ছিল, এটিকেও বিগত বাম আমলে অনেক আপত্তি থাকাসত্ত্বেও মাটি দিয়ে ভরাট করে দেওয়া হয়েছে। নতুন জলের উৎস নিয়েও কোনও চিন্তাধারা করা হচ্ছে না। এদিকে আসন্ন দূর্গাপূজার প্রাক্কালে এই তিনজন ব্যবসায়ী সহায় সম্বল খুইয়ে নিঃসহায় হয়ে পড়ায় গোটা মহকুমা জোরে উদ্বেগের ছায়া পরিলক্ষিত হয়। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে যে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এখন দেখার ব্যপার যে, এই বিপুল পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে সরকার কি ভূমিকা নেয়।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu