সবুজ ত্রিপুরা, চুড়াইবাড়ি প্রতিনিধি, ১৫ সেপ্টেম্বর : অবশেষে স্থানীয় জনগণ কোমর বেঁধে মাঠে নামলো নেশা বিরোধী অভিযানে।
পুলিশ প্রশাসনকে বারবার অভিযোগ করার পরও পুলিশের কোনো ভূমিকা না থাকাতে অবশেষে এলাকাবাসী
নেশা বিরোধী অভিযান চালিয়ে ৫০০ গ্রাম গাঁজা সহ ২০ লিটার দেশী মদ উদ্ধার
করে পুলিশের হাতে সমঝে দেয়। সাথে আটক করা নেশা কারবারি ননীগোপাল নাথ ও তার স্ত্রী
হীরামতি নাথকে।
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, উত্তর জেলার
কদমতলা থানাধীন বরগোল এলাকার ননীগোপাল নাথ (৭৬) পিতা মৃত নরোত্তম নাথ বরগোল এলাকায়
কদমতলা ধর্মনগর সড়কের পাশে একটি মুদি দোকান দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে স্থানীয়
এলাকাবাসীদের অভিযোগ ছিল যে দোকান মালিক ননীগোপাল নাথ মুদি দোকানের পাশাপাশি দেশী মদ
ও গাঁজার ব্যবসা করে আসছেন। তার ফলে বরগোল এলাকার অধিকাংশ লোক মুদি দোকানের সামগ্রী
আনতে গিয়ে দেশী মদ গাঁজা সেবন করে আসেন বলেও এলাকাবাসীর অভিযোগ। যুব সমাজ, স্কুল ছাত্র
থেকে শুরু করে বৃদ্ধরাও ধীরে ধীরে নেশার কবলে পড়ছেন। এসকল অভিযোগ নিয়ে এলাকাবাসী
কদমতলা থানায় বহুবার অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু কদমতলা থানার পুলিশের সে ব্যাপারে
কোনো কর্ণপাত করেননি।
অবশেষে আজ স্থানীয় বরগোল বাসীর
ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে যায়। আজ দুপুর নাগাদ স্থানীয় জনগন একত্রিত হয়ে ননীগোপাল নাথের
মুদির দোকানে নেশা বিরোধী অভিযান চালায়। স্থানীয়রা দোকান থেকে প্রায় ২০ লিটার দেশি
মদ উদ্ধার করেন। সাথে ৫০০ গ্রাম গাঞ্জা উদ্ধার হয় এলাকাবাসীর তৎপরতায়। খবর দেওয়া
হয় কদমতলা থানায়। ঘটনার খবর পেয়ে কদমতলা থানার সেকেন্ড ওসি প্রাজিত মালাকার বিশাল
পুলিশবাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মুদি দোকানের মালিক ননীগোপাল নাথ ও তার স্ত্রী
হীরামতি নাথকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পাশাপাশি স্থানীয় জনগণ ও কদমতলা থানার পুলিশ
যৌথভাবে ননীগোপাল নাথের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বেশকিছু ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেন।
ঘটনার খবর পেয়ে মহকুমা পুলিশ
আধিকারিক রাজিব সূত্রধর ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। উদ্ধারকৃত দেশী মদ, গাঞ্জা ও ধারালো অস্ত্র
কদমতলা থানার পুলিশ থানায় নিয়ে আসে। এই মর্মে কদমতলা থানার পুলিশ একটি মামলা হাতে
নিয়ে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। মামলাটির নম্বর হলো - KDL/PS/56/19। এদিকে স্থানীয় জনগণের
বক্তব্য, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার ডাক দিয়েছেন কিন্তু কিছু
অসাধু ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ব্যবসার পাশাপাশি অবৈধ নেশার কারবার অবাধে করে চলছেন। সে
ব্যাপারে পুলিশের তৎপরতা সন্দেহজনক বলেও এলাকাবাসীর অভিযোগ। এমনকি স্কুল ছাত্রদেরকে
দিয়েও বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে ননীগোপাল নাথ নেশাজাতীয় সামগ্রী পাচার করত বলেও এলাকাবাসীর
অভিযোগ।
0 মন্তব্যসমূহ