সবুজ ত্রিপুরা, চুড়াইবাড়ি প্রতিনিধি,
২৫ জুন : স্কুলের বিভিন্ন
সমস্যা নিয়ে বিকল্প জাতীয় সড়ক অবরোধ করতে গিয়ে অসুস্থ ১০/১২ জন কচিকাঁচা ছাত্র-ছাত্রী। ঘটনা উত্তর জেলার কদমতলা ব্লক এলাকার উত্তর ফুলবাড়ি উচ্চ বুনিয়াদী বিদ্যালয়ে।
উত্তর ফুলবাড়ি উচ্চ বুনিয়াদী বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের বিকল্প জাতীয় সড়ক অবরোধ। ছবি : কিশোররঞ্জন হোর। |
বিবরণে প্রকাশ,
আজ সকাল ১০ টা থেকে চুরাইবারি কদমতলা প্রধান সড়কটি অর্থাৎ রাজ্যের বিকল্প জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বসে উত্তর ফুলবাড়ী উচ্চ বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের কচিকাঁচা
ছাত্র ছাত্রীরা। এই স্কুলে বিদ্যুৎ নেই, তীব্র দাবদাহে
অসুস্থ ছাত্র ছাত্রীরা। ক্লাস ঘরের ভিতরে বৃষ্টির জল পড়ে, নেই আসবাবপত্র, মেঝেতে
বসে পড়াশোনা করে ছাত্র-ছাত্রীরা। রয়েছে
শিক্ষক স্বল্পতা,
নেই লেট্রিন বাথরুমের পর্যাপ্ত বন্দোবস্ত,
নেই পানীয় জলের সুবন্দোবস্ত। উত্তর ফুলবাড়ী উচ্চ বুনিয়াদি বিদ্যালয়ে ৪০৩ জন ছাত্রছাত্রী। তারমধ্যে
১৮০ জন
ছাত্র এবং ২২৩ জন ছাত্রী থাকলেও শিক্ষক শিক্ষিকা মাত্র ৬ জন। ৬ জন শিক্ষক শিক্ষিকার মধ্যে মধ্যে দুজন আবার বি
এল ও
কাজে লিপ্ত।
ছাত্র ছাত্রীরা রাস্তা অবরোধ করতেই অভিভাবকরা এগিয়ে আসে।
স্কুল চত্বরে উত্তেজনাময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। স্কুল শিক্ষকদের
ঘরে বন্ধ করে রাখা হয়।
তাদের দাবি বৈধ। প্রখর রৌদ্রের মধ্যে দাঁড়িয়ে ১০ জন ছাত্র ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদেরকে প্রেমতলা ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি দিয়ে কদমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনার খবর পেয়ে প্রায় আড়াই ঘণ্টা পরে ছুটে আসেন ডেপুটি কালেক্টর মানিক চক্রবর্তী ও শিক্ষা দপ্তরের
ডেপুটি ডিরেক্টর।
উনারা অভিভাবকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন।
এদিকে বৈঠক চলাকালীন সময় স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা অসুস্থ হওয়ার জন্য স্কুল ছুটি দেওয়া হয়। আর
আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের আশ্বস্ত
করা হয় অভিভাবকদের সাথে কথা বলে অতি শীঘ্রই তাদের দাবি দাওয়া পুরন করা হবে।
তারপর আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীরা তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে। তবে ১৯৮১ সালে নির্মাণ হওয়া স্কুলটিতে আজও কেন বিদ্যুৎ নেই তা
নিয়ে প্রশ্ন উঠছে জনমনে। দীর্ঘ ২৫ বছর বাম সরকারের আমলে যা হয়নি তা হয়তো রাম সরকারের আমলে হওয়ার কথা ছিল কিন্তু ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেছে তাই রাস্তায় নেমেছে কচিকাঁচা স্কুল ছাত্রছাত্রীরা। অভিভাবকদের নিয়ে ডেপুটি ডিরেক্টর ও
ডেপুটি কালেক্টর দীর্ঘ আলোচনা করে অভিভাবকের আশ্বস্ত করেন যে দুই এক দিনের ভেতর এই স্কুলের দাবি-দাওয়া গুলি স্কুল কর্তৃপক্ষক উনাদেরকে লিখিতভাবে দেবেন তারপর অতিসত্বর উনারা স্কুলের সমস্যা গুলি দূরীকরণ করবেন।
উল্লেখযোগ্য যে, উত্তর ফুলবাড়ি উচ্চ বুনিয়াদী বিদ্যালয়ের কচিকাঁচা
স্কুল ছাত্র ছাত্রী থেকে শুরু করে অবিভাবকদের একগুচ্ছ অভিযোগ স্কুলের প্রধান শিক্ষক শামসুল হক
ও অন্যান্য শিক্ষকদের প্রতি। এখন দেখার বিষয় স্কুলের ছোট ছোট কচিকাঁচা ছাত্রছাত্রীরা প্রচন্ড রৌদ্রের দাবদাহে বিকল্প জাতীয় সড়কের উপর দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করার পর
তাদের দাবি-দাওয়া গুলি কতটুকু পূরণ হয় নাকি অতলেই পড়ে থাকে তাদের এই
সমস্যাগুলো। আজকের পথ অবরোধের ফলে কিছুটা হলেও যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে পড়ে এবং পথ
যাত্রী দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের।
আরও পড়ুন : এসবিআই লাইফ ইন্সুরেন্স-এর উদ্যোগে সাকাইবাড়ি স্কুলে খেলার সামগ্রী বিতরণ
0 মন্তব্যসমূহ