সবুজ ত্রিপুরা ,ধর্মনগর,৫ ডিসেম্বর
।। সরকার পরিবর্তন হওয়ার সাথে
সাথেই ধর্মনগরের মাননীয় বিধায়ক তথা রাজ্য বিধানসভার উপাধ্যক্ষ শ্রী বিশ্ববন্ধু সেন
মহাশয় শহরের বিভিন্ন অফিস পরিদর্শন করছেন , উদ্দেশ্য কর্মসংস্কৃতি ফিরিয়ে আনা । জেলা শাসক, মহকুমা শাসক , পূর্ত, পরিবহন , বিদ্যুত, স্বাস্থ্য, মৎস,
শ্রম দপ্তর ইত্যাদি অফিস পরিদর্শন করেছেন।
এমন কি ,কিছু অফিস কয়েক বারও পরিদর্শন করেছেন । কিন্তু কর্ম সংস্কৃতির বিন্দু মাত্র
পরিবর্তন লক্ষ করা যায় নি। সরকার পরিবর্তনের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তন সম্ভব নয়, ব্যাক্তি
পরিবর্তনের মাধ্যমেই সমাজ পরিবর্তন সম্ভব এবং এটাই বাস্তব। পঁচিশ বছরের সংস্কৃতি কখনই
আট নয় মাসে পরিবর্তন করা সম্ভব নয় , কিন্তু সমস্যার জড় ধরে কাজ না করলে হয়তো কর্ম সংস্কৃতি
ফিরিয়ে আনাও অসম্ভব। নতুন সরকার হবার সাথে সাথেই নতুন কর্মচারী সংঘটনে (সংঘ ) নাম লেখাতে
ব্যস্ত অনেক কর্মচারী । উদ্দেশ্য পূর্বের ন্যায় সুযোগ সুবিধা আদায় করে নেওয়া এবং তাতে
অনেকেই সাময়িক সফলতাও পেয়েছেন। ফলে অফিস গুলোতে ঠিক আগের মতই আয়ারাম গয়ারাম।অপর দিকে
অফিস গুলোর আধিকারীও আগের ভূমিকা পালন করছেন।অনেকে তো আবার কালা পানির সাজার মত এখানে
এসেছন। ফলে সরকারের ভাব মূর্তী খারাপ করার
জন্য উনারা নিরবে কাজ করে যাচ্ছেন । প্রায়ই শুক্রবার,
শনিবার অফিসে গেলে অনেক স্যারকে পাওয়া যায়
না। উনারা আবার সোমবার বিকেলে, কখন আবার মঙ্গলবার সকালে অফিসে ফিরে আসেন। আবার কিছু
বাবু-বড়বাবুরা অফিসের ছোট ছোট কাজ নিয়ে ( যা ধর্মনগরই করা সম্ভব) অফিসের কাজের নাম
করে আগরতলায় বা বাড়ীতে চলে যান। যেমন ,শ্রম দপ্তরের শ্রম আধিকারীকে অফিসে শুক্রবারে
গেলে পাওয়া কঠিন। ফলে লাইসেন্স সংক্রান্ত কাজ সহজে হয় না। কিছু দিন আগে এক বেকার যুবক
লাইসেন্স করতে শ্রম আধিকারীর অফিসে গেলে, প্রথমে উনাকে পাওয়া যায়নি এবং কয়েক বার যাওয়ার
পরে উনাকে পাওয়া গেলে,উনি নানান অজুহাত দেখান। এমন কি উনার নামে অভিযোগ করা হলে, উনি
কাউকে ভয় পান নাও বলেন। উনার বেপরোয়া ভাবের ফলে ব্যবসায়ীদের নানা অসুবিধার সম্মুখিন
হতে হচ্ছে । এখানে উলেক্ষ যে শ্রম দফতরে মাননীয় উপাধ্যক্ষ মহাশয় পরিদর্শন করে গেছেন।
তাতেও কোন কাজ হচ্ছেনা । বিশেষ নিয়মের বলে
নাকি গেজেটেড অফিসারদের এটেনডেন্স হয়না। কিছু
আধিকারীরা সপ্তায় এক দুই দিন অফিসে এসে সহ কর্মীদের মধ্যে কাজ বণ্ঠন করে দিয়ে উনি বাড়ীতে থাকতেই বেশী আরাম বোধ
করেন। ফলে অফিসের বাকি বাবুরা নিজেদের মত পরিসেবা দিয়ে থাকেন। সরকার নতুন , আর যা কঠিন
সিদ্ধান্ত নেবার তা এখনি নিয়ে নেবার সময় । আর তা না হলে সরকার যতই জনমুখি সিদ্ধান্ত নিক না কেন তা জনগনের কাছে গিয়ে পৌছবে না।আর নতুন
কর্মচারী সংঘটন (সংঘ ) এটা যেন দেখেন, কিছু
মাত্র কর্মচারীদের জন্য সম্পূর্ণ কর্মচারীদের বদনাম না হয়। আর অতিধূত কর্মচারীরা নিজেরাই ভাববেন, আপনাদের জন্যই হয়তো এমন
দিন না আসে যখন কর্মচারীদের জিওট্রাকিং সিস্টেম লাগাতে হয়। সুত্রের খবর , কিছু সংখ্যক মিলে নিজেদের
মধ্যে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রউপ তৈরী করেছেন যার মাধ্যমে ধর্মনগরের বিধায়ক তথা রাজ্যের
উপাধ্যক্ষ শ্রী বিশ্ববন্ধু সেন মহাশয়ের চলাফেরার গতিবিধির তথ্য আদান প্রদান হয়ে থাকে
। উল্লেখ্য বিধানসভার শীত কালিন অধিবেসন চলার সময় সেই সকল কর্মচারীরা তাদের মর্জি মাফিক
অফিস করেছেন। সর্বোপরি এটা মনে রাখতে হবে, জনগন ক্ষেপে গেলে, পঁচিশ বছরের সরকারকেও যেমন জড় সমেত ফেলে দিতে
পারে । সেখানে সামান্য একটি চেয়ার তো কিছুই নয়।
0 মন্তব্যসমূহ