সবুজ ত্রিপুরা, চুরাইবাড়ি প্রতিনিধি, ১৪ মার্চ:-- প্রতিবন্ধীরা আর কতকাল অবহেলার
শিকার হবে। উত্তর জেলার কদমতলা আর ডি ব্লকের অন্তর্গত সরলা গ্রাম
পঞ্চায়েত এর চার নং ওয়ার্ডের
বাসিন্দা গগন তাঁতি (৪০) দীর্ঘ বিশ বছর ধরে বিকলাঙ্গ অবস্থায় বিছানায়
শয্যাশায়ী। বিকলাঙ্গ সার্টিফিকেটে ৯০% থাকার
পরও তার কপালে জোটেনি বিকলাঙ্গ ভাতা। জোটেনি একটি সরকারি
ঘর। দীর্ঘ বাম আমলে বিকলাঙ্গ গগনের ভাতা থেকে শুরু করে কোন
সাহায্য দেওয়া হয়নি।
রাজ্যে নতুন বিজেপি
আইপিএফ টি জোট সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর গগনের বিকলাঙ্গ ভাতা চালু হয়। কিন্তু কি অদৃশ্য কারণে ৪/৫ মাস ঠিকঠাক ভাতা পাওয়ার
পর তা বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে ভাঙ্গা ঘরে থাকতে হচ্ছে
গগনকে। বৃস্টি হলে জল পড়ে সে ঘরে। গগনের
সংসারে সেই ছিল উপার্জনকারী আর দীর্ঘ ২০ বছর ধরে সে বিকলাঙ্গ ও
শয্যাশায়ী। চলাফেরা
সম্পূর্ণভাবে বন্ধ গগনের। ভাঙ্গা ঘরের এক
কোণে ঠাঁই তার। আর তাতে সম্পূর্ণ ভাবে হতাশাগ্রস্ত
হয়ে পড়েছে গগন। সে যে তার ভাতা বন্ধের খোঁজখবর নেবে তাও সম্ভব নয়, কারণ
গগন চলাফেরার করতে অক্ষম।
সরকারের কাছে তার একটাই অনুরোধ তার বিকলাঙ্গ ভাতা যেন পুনরায় চালু হয় ও একটি ঘর যেন তাকে দেওয়া
হয়।
তাহলে সে শান্তিতে ঘুমোতে পারবে আর ভাতার টাকা দিয়ে দু’মুঠো ভাত খেতে পারবে। একজন ভারতীয় নাগরিক হিসাবে এটাই তার দাবী। এখন
আশা করা
যায় যে, ৯০% বিকলাঙ্গ গগন তাঁতির দিকে প্রশাসন দৃষ্টি
প্রদান করবে এবং তাঁর জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে।
0 মন্তব্যসমূহ