পরিবার কল্যাণ এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তার স্বাক্ষর করা নির্দেশ নামা তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে কলাপাতা-Sabuj Tripura

সবুজ ত্রিপুরা

২৫ জুলাই

মঙ্গলবার

তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ পরিবার কল্যাণ এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তার স্বাক্ষর করা নির্দেশ নামা তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে কলাপাতা।উল্লেখ্য থাকে , বিগত ১৮ জুলাই ২০২৩ ইং তারিখে স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা এক নির্দেশনামা জারি করে 

রাজ্যবাসীর স্বার্থে সরকারি হাসপাতালে যারা পরিষেবা গ্রহণ করতে আসেন তাদের সার্বিক বিষয় চিন্তা করে নির্দেশ নামায় উল্লেখ করেছিলেন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪:৩০ মিঃ পর্যন্ত হাসপাতালে যখন ও.পি.ডি চলবে তখন কোনভাবেই কোন প্রকারের মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভরা এসে  চিকিৎসকের সাথে কথা বলে কিংবা নিজেদের ব্যাবসার বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে স্থানীয় মানুষদের অসুবিধে তৈরি করতে পারবেন না। গোটা বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন হাসপাতাল সমূহের যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত রয়েছেন তাদেরকেও অবগত করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল গুলোর মধ্যেও বড় বড় হরফে সংশ্লিষ্ট নোটিশ সাটানো রয়েছে।কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে দপ্তরের অধিকর্তার নির্দেশ থাকলেও তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে মহকুমা চিকিৎসা আধিকারিক সহ বিভিন্ন চিকিৎসকেরা রোগী দেখার জন্য নির্ধারিত সময়ে নিজেদের ব্যাক্তিগত লাভা লাভের কথা চিন্তা করে নির্দ্বিধায় সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকা মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভদের সময় দিচ্ছেন। 

                   হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

সংশ্লিষ্ট নির্দেশ নামায় যেখানে লেখা আছে চিকিৎসক মহোদয়েরা যেখানে বসে রোগী দেখবেন সেখানে কোন নির্দিষ্ট কোম্পানির ঔষধের বিজ্ঞাপন থাকতে পারবে না, সেই জায়গায় দেখা যায় চিকিৎসক মহোদয়রা যে পেপার ওয়েট ব্যাবহার করেন, যে ক্যালেন্ডারটা ব্যাবহার করেন ,বা যে কলমটা ব্যাবহার করেন সেটাও নির্দিষ্ট ঔষধ কোম্পানির বিজ্ঞাপন বহন করে চলেছে। তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালের ক্ষেত্রে সবচেয়ে আশ্চর্য পূর্ণ ঘটনা হচ্ছে  মঙ্গলবার MOIC অজিত দেববর্মা নিজেই দিনের ব্যাস্ততম সময়ে রোগী দেখার ফাঁকে চায়ের কাপ হাতে নিয়ে একাংশ মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কাছে সময় দিতে ব্যাস্ত হয়ে পড়লেন ,যা আজ আমাদের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে।গোটা বিষয় নিয়ে হাসপাতালে লাইন করে দাঁড়িয়ে থাকা রিপ্রেজেন্টেটিভদের সাথে কথা বললে উনার সরাসরি জানান আগরতলা বা বড়ো বড়ো জায়গায় নিয়মগুলো চালু রয়েছে, কিন্তু তেলিয়ামুড়ার মতো জায়গায় নিয়ম চালু হয়েছে কিনা তা তারা জানেন না ! 

আশ্চর্য উত্তর দিলেন মহোদয় গন। এর পাশাপাশি তেলিয়ামুড়া মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক সহ যে সমস্ত চিকিৎসকেরা  দপ্তরের নির্দেশিকাকে অমান্য করে চলেছেন তারা এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। এখন দেখার বিষয় সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জানাজানি হলে পরে এ বিষয়ে কি ব্যাবস্থা গ্রহণ করে  কতৃপক্ষ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu