জুড়ি নদীর ঝেরঝেরি ঘাটে স্নান করতে এসে জলের তলায় তলিয়ে যায় এক যুবক-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা

৫ জুন

সোমবার

পানিসাগর  প্রতিনিধিঃচৌঠা জুন দুপুর দুই ঘটিকায় উওর জেলার পানিসাগর মহকুমার অন্তর্গত ভাল্লুক ছড়ার শ্মশান ঘাট এলাকায় জুড়ি নদীর ঝেরঝেরি ঘাটে স্নান করতে এসে জলের তলায় তলিয়ে 

যায় এক যুবক।ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে,জুরি নদীর ঐ এলাকায় মনোরম পরিবেশে গ্রীষ্ম কালীন দাবদাহে দূরদূরান্ত থেকে কৌতূহলী যুবকেরা স্নান করতে ভীড় জমায় প্রতিদিন।এলাকাটির নির্জনতা কে কাজে লাগিয়ে স্নানের নামে প্রতিদিন চলে নানান ধরনের ব্যাভিচার।এলাকাটি পানিসাগর থানার অন্তর্গত হলেও প্রসাশনিক অবহেলায় এলাকাটি পর্যটনের বিপরীতে পরিনত হয় আড্ডাখানায়।নেশা খোর দখলে চলে যায় গোটা এলাকাটি।আজ ও এর কোন ব্যাতিক্রম হয়নি।প্রতিদিনের ন্যায় আজ ও গাড়ি,বাইক স্কুটি নিয়ে প্রায় 

                   হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

শতাধিক যুবকেরা জড়োহয় স্নান করতে।এতেই ঘটে বিপওি।স্নান করতে গিয়ে হঠাৎ করে নদীর জলে অচৈতন্ন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় ধর্মনগর দেওয়ান পাশা শ্রীপুর তিন নং ওয়ার্ডে বাসিন্দা অসিত দাস এর ঊনিশ বর্ষিয়া পুএ তুষার দাস কে।তড়িঘড়ি তাকে জল থেকে তুলে আনা হয় পাড়ে।পরবর্তীতে খবর পাটানো হয় পানিসাগর ফায়ার সার্ভিসে।ফায়ার সার্ভিসের প্রচেষ্টায় তাকে জলাবাসা প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃতবলে ঘোষনা করে।মৃতার এক ভাই জানিয়েছেন তুষায় স্নানে নামার আগে মদ্যপান করেন।ধারনা করা হচ্ছে আকন্ঠ মদ্যপ অবস্থায় স্নান করতে নেমে অসতর্কতাবশত জলে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় তার।জানা গেছে মৃত তুষারের সাথে আরও দশ পনেরে জন বন্ধু  ছিলো।তুষারের মৃত্যু নিশ্চিত জেনে এরা সকলে ঐ জায়গা ছেড়ে গা ডাকা দেয়।ঘটনা স্থলে পৌছায় পানিসাগর থানার পুলিশ। 

আইনি প্রক্রিয়া মোতাবেক মৃতদেহ জলাবাসা হাসপাতাল থেকে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে আসা হয় পানিসাগর মহকুমা হাসপাতালের মর্গে।এই নিয়ে পানিসাগর থানার পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে মৃত্যু সঠিক কারণ উন্মোচনে তল্লাশি অভিযান জারি রেখে চলেছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu