সবুজ ত্রিপুরা
২৯ মে
সোমবার
কদমতলা প্রতিনিধিঃ স্বাধীনতার সাত দশক পরও ভাগ্যের রকম ফের হয়নি করিমগঞ্জ জেলার বদরপুর সমষ্টির লামাজুয়ার গ্রামের জনগনের।গ্রামের সর্বত্রই বিরাজ করছে নেই নেই রব।বলতে গেলে উন্নয়নের নুন্যতম ছোঁয়া থেকে উল্লেখিত এলাকার জনগন
আজও উপেক্ষিত।বিশেষ করে সেখানকার দাসপাড়ার হাল চরমে বিরাজ করছে।স্কুল সড়ক বিদ্যুত পানীয়জল হসপিট্যাল ইত্যাদির তেমন সুবিধে নেই এখানে।এমন খবর পেয়ে সোমবার সকালে সেখানে স্থানীয় সমাজকর্মী তথা মহিলা নেত্রী মুন্নি ছেত্রী ছুটে গেলে তাকে কাছে পেয়ে নিজেদের দর্দশার করুণ কাহিনি তুলে ধরেন স্থানীয় ভুক্তভোগীরা।তারা জানান বিশেষ করে গ্রামীণ সড়কের দুর্দশার জন্য উক্ত গ্রামের যুবতীদের অন্য গ্রামের যুবকেরা বিয়ে করতে অনিহা প্রকাশ করে আসছেন।বৃষ্টি দিলই পুরো গ্রামের সড়ক কর্দমাক্ত হয়ে উঠে।এতে স্থানীয় জনগন সহ স্কুল পড়ুয়াদের চলাফেরা
হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন
দুষ্কর হয়ে উঠে।বর্তমান হাইটেকের যুগে গ্রামের এহেন দুর্দশা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন অনেকে।অনেকটা আদিম যুগের মানুষের ন্যায় এখানকার জনগনকে জীবন যাপন করতে হচ্ছে।সমুহ সমস্যা নিয়ে জিপি কর্তৃপক্ষ সহ জেলাপরিষদ ও বিধায়ক ওয়াকিবহাল থাকা সত্বেও গ্রামের জনগনের দুর্দশার সমাধান হয়নি আজও।বিগত দিনে এখানকার বেশকটি সড়ক নির্মানের জন্য ফোর্টিন ফাইন্যান্স থেকে অর্থ বরাদ্ধ করা হলেও পরবর্তিতে নামমাত্র কাজ করে সিংহভাগ সরকারি টাকা হ্যাপিস করার অভিযোগ রয়েছে।সম্প্রতি গ্রামের পাশে একটি সাইনবোর্ড বিহিন ড্রেন নির্মানের কাজ শুরু হলেও
পরবর্তিতে রহস্যজনক ভাবে কাজটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।গ্রামে একটি মিনি পিএইচই প্ল্যান্ট থাকলেও সেটা থেকে নিয়মিত জল মিলছে না।তাছাড়া প্রকল্পটি পরিচর্যার অভাবে ধুঁকছে।এছাড়া গ্রামের মানুষ রেশনকার্ড অরুণোদয় সরকারি ভাতা ফ্রী বিদ্যুত ইত্যাদি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে আছেন।সমুহ অভিযোগ নিয়ে শীঘ্রই ডিসির দরবারে নালিশ জানাবেন বলে জানান মহিলা নেত্রী মুন্নি।প্রয়োজনে তিনি এসব সমস্যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দরজায় কড়া নাড়ারও প্রতিশ্রুতি দেন।
0 মন্তব্যসমূহ