সবুজ ত্রিপুরা
২৫ এপ্রিল
মঙ্গলবার
পানিসাগর প্রতিনিধিঃ "উন্নয়নকে বাস্তবায়িত করতে সরকারি ভূমি থেকে উচ্ছেদ করা হলো চারটি পরিবার"।২৪ শে এপ্রিল সকাল এগারো ঘটিকা থেকে বিকেল পাট ঘটিকা পর্যন্ত উওর জেলার পানিসাগর মহকুমা প্রসাশন এর উদ্যোগে রৌয়া গ্রাম পঞ্চায়েত কে মডেল
ভিলেজে রুপান্তরিত করতে রৌয়া বাজার স্থিত বেশ কিছু সরকারি খাস ভূমি জবরদখল মুক্ত করা হয়।এতে উপস্থিত ছিলেন পানিসাগর মহকুমা প্রসাশনের ভারপ্রাপ্ত মহকুমা সাশক মঃনুরুজ্জামান ইসলাম,ডেপুটি কালেক্টর দিবাকর জমাতিয়া ও অনিরুদ্ধ দাস সহ অন্যান্য পদাধিকারীগন।উচ্ছেদ কে কেন্দ্র করে মোতায়েন করা হয় বিশাল নিরাপওা বেষ্টনী, ফায়ার সার্ভিস,বিদ্যুৎ দপ্তর,পুর্ত দপ্তর,রৌয়া এবং রামনগরের তহশিলদার গন।সকাল থেকেই আগাম ঐ এলাকায় প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করে দেওয়া হয়।পরবর্তী তে নিরাপওা কর্মীদের হস্তক্ষেপে বাড়ি ঘর থেকে মানুষজনকে সরিয়ে দিয়ে ড্রজার লাগিয়ে মোট ষোল টি বাড়ি ভেঙ্গে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।এর মধ্যে রয়েছে হিন্দু এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের মোট ষোলটি পরিবার।তবে ঐ এলাকায় নির্মিত একটি
হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন
মন্দির এবং একটি মসজিদ কে অখুন্ন রাখা হয়।মহকুমা প্রসাশনের পক্ষথেকে জানানো হয় মন্দির এবং মসজিদ উচ্ছেদের বিষয়ে কোন ধরনের নির্ধেশিকা না পাওয়াতে এগুলোকে ভাঙ্গা হয়নি।পাশাপাশি রৌয়া গ্রাম পঞ্চায়েত সুএে খবর জানানো হয় উচ্ছেদ কৃত ষোলটি পরিবারের মধ্যে চারটি পরিবারের কোন বশত ভুমি না থাকাতে তাদেরকে সরকারি সহায়তায় ভুমির বন্দোবস্ত করে দেওয়া হয়।বাকি দের কে ধীরে ধীরে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বশত ঘর নির্মান করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।এর পরও ঐ পরিবার গুলো সরকারি নির্ধেশিকা কে উপেক্ষা করে জবর দখল মুক্ত করে না দেওয়াতে পানিসাগর মহকুমা আদালতের নির্দেশানুসারে বিগত ১৮ ই এপ্রিল সাত দিনের চুরান্ত সময়সীমা
নির্ধারণ করে প্রতিটি পরিবারকে জবরদখল মুক্ত করার আদেশ দেওয়া হয়।এই মর্মে আজ দীর্ঘ প্রায় পাঁচ ঘন্টা ব্যাপী উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে ঐ এলাকায় প্রায় ৬৪ একর জমি দখল মুক্ত করা হয়।এই মর্মে উচ্ছেদ স্থল পরিদর্শনে যান পানিসাগর বিধানসভার মাননীয় বিধায়ক বিনয় ভুষন দাস এবং বিগত দিনের দেওয়া সরকারি সকল প্রতিশ্রুতি পালনের আশ্বাস প্রদান করেন।
0 মন্তব্যসমূহ