"স্কেটিং"-ই যে কাল হয়ে গর্ভধারিনী মায়ের বুক খালি হয়ে গেল চিরদিনের মতো-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা

২০ ডিসেম্বর

মঙ্গলবার

তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ  "স্কেটিং"-ই যে কাল হয়ে গর্ভধারিনী মায়ের বুক খালি হয়ে গেল চিরদিনের মতো। কিন্তু এলাকাবাসীদের দাবি অভিভাবকের কারণেই বর্তমানে এই হৃদয়বিদারক ঘটনা। 

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা তেলিয়ামুড়া শহর জুড়ে শোকের বাতাবরণ বিরাজ করছে। ঘটনার  শোকতাপে গর্ভধারিনী মা এবং বাবা অনেকটা বাকরুদ্ধ। মৃত যুবকের নাম দ্বিগবিজয়  দাস।ঘটনার বিবরণ দিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী যুবক তথা মৃত যুবকের সঙ্গে থাকা অপর  আরেক "স্কেটার" টিপু জমাতিয়া জানান,,, শনিবার দুপুর আনুমানিক আড়াই (২:৩০) টা নাগাদ বড়মুড়া গ্যাস থার্মাল সংলগ্ন এলাকা থেকে ৮ নং আসাম আগরতলা জাতীয় সড়ক ধরে বড়মুড়া  ইকো পার্কের দিকে অর্থাৎ তেলিয়ামুড়ার দিকে "স্কেটিং রাইডিং" করে আসার পথে TR06 2393 নম্বরের একটি যাত্রীবাহী অটোর সঙ্গে সজোড়ে ধাক্কা খায়। 

                         হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

এতে "স্কেটিং রাইডিং" করা  যুবক দ্বিগবিজয় দাস ঘটনাস্থলে গুরুতরভাবে যখন হয়। এবং যাত্রীবাহী অটো গাড়িটি রাস্তার পাশে উল্টে যায়। এই সম্পূর্ণ ঘটনাটি তখন নিজের ক্যামেরায় ক্যামেরা বন্দি করছিল দ্বিগবিজয়ের গর্ভধারিনী মা। পরবর্তী সময়ে ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করে তার মা নিজ গাড়িতে করে আহত হওয়া পুত্রকে চিকিৎসার জন্য জিবি হাসপাতাল নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত হওয়ার যুবক তথা দ্বিগবিজয় দাস'কে মৃত বলে ঘোষণা করে। উল্লেখ থাকে,, তেলিয়ামুড়ার  ঠিকেদার হারান দাসের দুই পুত্র এবং এক কন্যা ছিল। আজ থেকে প্রায় ১৬-১৭ বছর পূর্বে সেই হারান দাসের প্রথম পুত্র  যান দুর্ঘটনায় উনার চোখের সামনেই মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় পুত্র "স্কেটিং রাইডিং" করতে গিয়ে মৃত্যু হয় শনিবার দুপুর নাগাদ। এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী টিপু জমাতিয়া জানায়,, দ্বিগবিজয় এবং টিপু বড়মুড়া গ্যাস থার্মাল সংলগ্ন এলাকা থেকে যাত্রা শুরু করে তুইসিন্দ্রাই বাজারে এসে জল পান করে পুনরায় "স্কেটিং রাইডিং" করে  আসার পথে এই বিপত্তি ঘটে। জানা গেছে,, TR06 2393 নম্বরের অটো গাড়ির মালিক হলেন হাওয়াই বাড়ি এলাকার অভিজিৎ দাস গুপ্ত। 

কিন্তু দুর্ঘটনার সময় যাত্রী নিয়ে গাড়িটি চালিয়ে যাচ্ছিলেন বিধু ভূষণ দাস নামের এক ব্যাক্তি। তবে সে যাই হোক না কেন ছেলের আবদার মেটাতে গিয়ে গর্ভধারিনী মায়ের কোল খালি  হয়ে গেল। তবে এই হৃদয়বিদারক ঘটনা নিয়ে গোটা তেলিয়ামুড়া শহর জুড়ে শোকের আবহ বিরাজ করছে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu