নব গৃহবধূকে স্বামী কর্তৃক মারধরে অভিযোগ-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা

৩১  অক্টোবর

সোমবার 

বিশালগড়  প্রতিনিধিঃ মাত্র কয়েক মাসের পরিচয়। এরপর ভালোবাসা। তারই মধ্যে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করা। মাত্র তিন মাস সেই ভালোবাসার স্থায়ী ছিল তাও কোনরকমে। পালিয়ে যাওয়ার পর 

থেকেই নব গৃহবধূকে মারধর স্বামী কর্তৃক প্রথমদিকে। পরবর্তী সময়ে শ্বশুর-শাশুড়ি মিলে এই গৃহবধুকে রাতের অন্ধকারে বালিশ চাপা দিয়ে প্রাণে মারার চেষ্টা করে। অবশেষে রাত তিনটা নাগাদ সেই নব গৃহবধূ স্বামীর বাড়ি থেকে কোনরকমে পালিয়ে গিয়ে  বোনের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে তিন মাসের ভালবাসাকে দূরে ফেলে দিয়ে রবিবার  সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ  মধুপুর থানায় অভিযুক্ত স্বামী শুভ্রজিৎ সরকার, শশুর গুরুপদ সরকার এবং শাশুড়ি সুজাতা সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে এবং অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দাবী করেন নব গৃহবধু। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ গত তিন মাস পূর্বে মধুপুর দাসপাড়া এলাকার বিকর্ণ  দাশের কলেজ পড়ুয়া কন্যা ঋতুপর্ণা দাসের সাথে ভালোবাসার সম্পর্ক হয় মধুপুর বনকুমারি এলাকার গুরুপদ সরকারের ছেলে শুভজিৎ সরকারের সাথে। পরবর্তী সময়ে মা বাবার চোখে আড়ালে দুইজনেই পালিয়ে বিবাহ করে।অভিযোগ বিয়ের দুই দিন পর থেকেই আকণ্ঠ মদ্যপান এবং ট্যাবলেটের নেশা বিভোর হয়ে স্বামী শুভ্রজিত  সরকার নব গৃহবধূ ঋতুপর্ণা দাসের উপর মারধোর শুরু করে।  প্রথম কয়েকদিন এই গৃহবধূ সহ্য করে থাকলেও নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলে তার শ্বশুর-শাশুড়ির কাছে ঘটনা জানায়।কিন্তু হলে কি হবে শশুর শাশুড়ি ও এই নব গৃহবধুৱ উপর অত্যাচার চালায়। বারবার সেই নব গৃহবধুর বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক আনার জন্য চাপ দিতে থাকে। অসহায় নব গৃহবধূ বাবা আর্থিক দিক দিয়ে দুর্বল হওয়ায় সবকিছু দিতে না পারাই এই গৃহবধুর উপর যন্ত্রনা আরো তীব্রতার হতে থাকে।  একটা সময় নির্যাতনের মাত্রা এত বেড়ে যায় গভীর রাতে গৃহবধূ ঋতুপর্ণা দাসের মুখে বালিশ চাপা দিয়ে প্রাণে মারার চেষ্টা চালাই। 

                         হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

শুধু তাই নয় শরীরের বিভিন্ন জায়গায় প্রচন্ডভাবে লাঠি এবং দা দিয়ে আঘাত করতে থাকে। কয়েকবার কান দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে পরবর্তী সময়ে মধুপুর হাসপাতালে নিয়ে আসে। কিন্তু সেই নব গৃহবধূ বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করার ফলে তার নিজ বাড়িতেও সঠিকভাবে জানাতে পারছেন না। তবুও ফোনের মাধ্যমে জানাতে গেলে বারবার মারধর করে। পরবর্তী সময়ে মোবাইল ভেঙ্গে দেই। এদিকে নব গৃহবধু ঋতুপর্ণা দাস জানান তার শ্বশুর-শাশুড়ি এবং স্বামী মিলে তাকে প্রাণে মারার চেষ্টা করে শনিবার 

গভীর রাতে। পরবর্তী সময়ে রাত তিনটা নাগাদ সেখান থেকে পালিয়ে তার বোনের বাড়িতে আশ্রয় নেই এবং রবিবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ অভিযুক্ত তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করে। যদিও সেই গৃহবধূ জানান অভিযুক্তদের কুঠুর শাস্তির দাবি এখন দেখার বিষয় পুলিশ কি ভূমিকায় গ্রহণ করে যদিও এলাকার পক্ষ থেকে উপযুক্ত তিনজনের কঠোর শাস্তি দাবী রাখছে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu