বক্সনগর বিদ্যুৎ অফিসে ভেলুয়ারচরের ব্রেকার নষ্ট হওয়ায়, বিদ্যুৎ যন্ত্রণায় জেরবার বক্সনগর বাসী সংস্কারের নেই উদ্যোগ-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা

২৭ আগস্ট

শানিবার

বক্সনগর প্রতিনিধিঃ গোটা বক্সনগরজুড়ে বিদ্যুৎ সংকট তীব্রতম হয়ে পড়েছে। এই তীব্র গরমের মধ্যে ঘন্টার পর ঘন্টা দেখা নেই বিদ্যুতের। ঘনঘন বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে গোটা এলাকা, এরমধ্যে 

সবচাইতে বিদ্যুতের সমস্যা হচ্ছে বক্সনগর ব্লকের অন্তর্গত আশাবাড়ি, রহিমপুর, ভেলুয়ার চর, পুঠিয়া এই কয়েকটি এলাকায় একবার বিদ্যুৎ গেলে আর সহজে আসতে চায় না, একেবারেই নাজেহাল হয়ে পড়েছে এ এলাকার সাধারণ জনগণ। এর মধ্যে ঘন ঘন বিদ্যুৎ হীনতায় এলাকার ব্যাংক সহ সকল ব্যবস্থাকে পঙ্গু করে দিচ্ছে। দীর্ঘ অনেক দিন যাবত বক্সনগর ব্লকের অন্তর্গত এই বেশ কয়েকটি এলাকায় এমন সমস্যা লেগেই রয়েছে । দিনে ২০ থেকে ২৫ বার লোডশেডিং দেওয়া হয়। দায়িত্বরত বক্সনগর বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও মিলছে না কোন সদুত্তর । হালকা একটু বৃষ্টি হলেই ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিং। জানা যায় গোটা সোনামুড়া মহকুমায় বিদ্যুৎ যন্ত্রণায় ভুগছে সাধারণ জনগণ। কিছুদিন পর পর সোনামুড়া মহকুমায় বিদ্যুতের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে রাস্তা অবরোধ এমনকি বিদ্যুৎ অফিস ও গেরাও করছেন সাধারণ আমজনতা। সাধারণ জনগণ রাস্তা অবরোধ করলে নেতাকর্মীরা এসে এমনকি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষরা আশ্বাস দিয়ে কোনরকম ভাবে অবরোধ তুলে নেন। কিন্তু আশ্বাসের জায়গায় আশ্বাসেই থাকে কিন্তু কাজের কাজ আর কিছুই হচ্ছে না। প্রতিদিন সারা রাতেই সর্বোচ্চ ৬ ঘন্টাও বিদ্যুৎ থাকছে না বলেই অভিযোগ সাধারণ জনগণের। সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয়ে যায় ঘন ঘন লোডশেডিং। ছাত্র-ছাত্রী এবং রোগীরা পড়েছেন মহা বিপদে। 


                         হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

এই বিদ্যুৎহীনতার কারণে মানুষজনের ফ্রিজে থাকা খাদ্য পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বক্সনগর বিদ্যুৎ দপ্তরের উপর ক্ষুব্ধ সকল অংশের মানুষ। বক্সনগর বিদ্যুৎ অফিসের ল্যান্ড লাইন ব্যস্ত করে রাখা হয়। এদিকে আশাবাড়ি রহিমপুর ,পুঠিয়া , ভেলুয়ার চর এলাকার জনগণ বক্সনগর বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করলে বলেন লোডশেডিং চলছে। কিন্তু জনগণের দাবি বক্সনগর এলাকার অন্যান্য জায়গায় বিদ্যুৎ থাকছে অথচ এসব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকছে না কেন। বিদ্যুৎএর ঘাটতির কারণেই লোডশেডিং হবার কথা, কিন্তু রাজ্যে বিদ্যুৎএর ঘাটতির সংবাদ তো নেই। বক্সনগর বিদ্যুৎ অফিসের দায়িত্ব প্রাপ্ত আধিকারিক এর দরুন এই চরম বিদ্যুৎ সংকটে ভুগতে হচ্ছে সাধারণ গ্রাহক দের। তাদেরঐ দায়ী করেন এলাকাবাসী। এ বিষয়ে বক্সনগর এর বিদ্যুৎ দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের সাথে কথা বলে জানা যায় ভেলুয়ার চর বায়া রহিমপুর একটি ব্রেকার দীর্ঘ প্রায় চার বছর ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এখন বর্তমানে একটি বেকার দিয়ে বক্সনগর এলাকার বেশ কয়েকটি জায়গায় চালাতে হচ্ছে, এই কারণে নাকি শর্ট সার্কিটে এত ঘনঘন লোডশেডিং পড়ে যাচ্ছে। জানা যায় এই ব্রেকারের দায়িত্বে যিনি রয়েছেন তিনি হলেন এস ডি ও আবির দেব তিনি আগরতলা রবীন্দ্রনগর  এর বিদ্যুৎ অফিস এবং বক্সনগর এর দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি বক্সনগরের বিদ্যুৎ অফিসে ছয় মাসেও একবার আসেন না বলে অভিযোগ। তিনি অল্প কিছুদিন আগে বক্সনগর বাসির কাছে কথা দিয়েছিলেন যে গত দুই মাসের মধ্যে এই ভেলুয়ার চর ব্রেকারটি মেরামত করে দেবেন। কিন্তু দীর্ঘ ছয় মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও ব্রেকার ঠিক করার কোন উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের । তবে বর্তমানে যে ব্রেকারটি রয়েছেন এই  একটি ব্রেকার দিয়ে গোটা বক্সনগর চালাচ্ছেন ,তাই ঘন ঘন লোডশেডিং এবং শর্ট সার্কিট হচ্ছে । এই শর্ট সার্কিট এর যেরে গ্রাহকদের টিভি ফ্রিজ মোবাইল সহ বিভিন্ন আসবাবপত্র শর্ট সার্কিট এর জেরে নষ্ট হচ্ছে। এমনকি অনেক জায়গায় মেইন তার ট্রান্সমিটার ও জলে যাচ্ছে। তবে এখন বর্তমানে যে ব্রেকারটি রয়েছে যদি এটি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে গোটা বক্সনগরের মানুষ অন্ধকারে কাতরাতে হবে। এই ঘন ঘন শর্ট সার্কিটের যন্ত্রণায় বক্সনগর বিদ্যুৎ অফিসের কর্মীদের গাড়ি না থাকায় অনেক বেকায়দায় পড়তে হয়। তারা দাবি করেন বক্সনগর বিদ্যুৎ অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিস ইনচার্জ সুমন দেবনাথ, এবং জাফর ইকবাল তারা নাকি অফিসে আসেন দুপুর ১২ টায়, আর কর্মীদের বলেন অফিসে আসতে সকাল 

ছয়টায়, কিন্তু অফিসে গাড়ি না থাকায় কর্মীদের কাজে যেতে অনেকটা বেঁকাদায় পড়তে হয়। সূত্রে খবর বর্তমানে বক্সনগর বিদ্যুৎ অফিসের পরিকাঠামোগত ভাবে অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে। নেই সুদক্ষ কর্মচারী নেই কোন কারিগর। এছাড়া তো রয়েছে কর্তব্যের অবহেলা। অভিভাবকহীন অবস্থায় বক্সনগর বিদ্যুৎ দপ্তর। আর এই খেসারত দিতে হচ্ছে বক্সনগর এলাকার আমজনতাকে। এখন দেখার বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বক্সনগর বিদ্যুৎ দপ্তরের অফিসের দিকে নজর দেয় কিনা। সেদিকে তাকিয়ে আছে গোটা বক্সনগর বাসি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu