রোজগার না করতে পারায় ঘর থেকে মারধর করে বের করে দিয়েছে ছেলে এবং স্ত্রী-Sabuj Tripura

 

 সবুজ ত্রিপুরা

২৩ আগস্ট

মঙ্গলবার

বক্সনগর প্রতিনিধিঃ ছেলে আমার মস্ত মানুষ,মস্ত অফিসার মস্ত ফ্ল্যাটে যায় না দেখা এপার ওপার ।নানান রকম জিনিস, আর আসবাব দামী দামী সবচেয়ে কম দামী ছিলাম একমাত্র আমি।

ছেলের আমার,আমার প্রতি অগাধ সম্ভ্রম আমার ঠিকানা তাই বৃদ্ধাশ্রম!” নচিকেতার কথা ও সুরে এই গানটি শোনার সময় আমাদের কার না চোখ জলে ভেসেছে! জলে ভেজা ছলছল চোখের সামনে ধরা দেয় বাবার প্রিয় মুখখানি। মনে মনে শপথ নিয়ে ফেলি কখনো বাবাকে চোখের জল ফেলতে দেবো না। সারাজীবন আঁকড়ে ধরে থাকব। কারণ  তার সাথে আছে আমাদের বড় হয়ে ওঠা পর্যন্ত মেনে নেয়া সমস্ত আবদার। প্রকৃতির আজব খেয়ালে মানুষ জন্মানোর পর থেকে ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। পড়ালেখা শেষ করে সে স্বাবলম্বী হয়। তারপর বিয়ে করে সংসার। এর মাঝে বাবা-মায়েরও বয়স কিন্তু বাড়তে থাকে, কমতে থাকে শরীরের শক্তি, অবলম্বন হয়ে পড়ে সন্তানেরা। সংসারের হাল ধরে সকলের দায়িত্ব নেয় বাড়ির ছেলে। কিন্তু কীসের খেয়ালে অতীতের সব স্মৃতি বিলুপ্ত হতে থাকে ছেলের। চিন্তায় তখন নতুন আত্মীয় স্বজন। ঘরের মাঝে জায়গা পায় অবলা পশুপাখিও। কিন্তু মস্ত ফ্ল্যাটে জায়গার কমতি পড়ে মা বাবার জন্য। এমনই এক বাস্তব 

                          হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

চিত্র উঠে এসেছে আমাদের সময় ত্রিপুরার পর্দায় ,আগরতলা পূর্ব থানাধীন যোগেন্দ্রনগর ক্ষুদিরাম পাড়ার বাসিন্দা ৬০ বছরের দিলীপ মোদকের সাথে  এমনই এক অমানবিক ঘটনা ঘটেছে । সঠিক ভাবে কথা না বলতে পারা দিলীপ মোদক  বলে দুই বছর ধরে ঘরে বাহিরে ঘুরে বেড়াচ্ছে কারণ উনার ছেলে এবং স্ত্রী নাকি উনাকে রোজগার না করতে পারায় ঘর থেকে মারধর করে বের করে দিয়েছে, উনি সাথে কথা বলে জানা যায় উনার ছেলে কোনো একটি কোম্পানিতে চাকরি করে, দীর্ঘ দুই বছর রাস্তা ঘুরাঘুরি করলেও এখন আর শরীলে দিচ্ছি না তাই  বাড়িতে কিংবা কোন বৃদ্ধাশ্রমে যেতে চাইছে, দীর্ঘ দুই মাস ধরে সোনামুড়া ব্রিজ চৌমুনীতে অবস্থান করছে, 

আজ শারীরিক অবস্থার খারাপ হওয়ার ফায়ার সার্ভিস কর্মীরাও না সোনামুড়া হাসপাতালে নিয়ে যায়, এখন দেখার বিষয় এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর উনার ছেলে কিংবা কোনো সামাজিক সংগঠন ওনার পাশে এসে দাঁড়ায় কিনা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu