সবুজ ত্রিপুরা
২৯ জুলাই
শুক্রবার
কদমতলা প্রতিনিধিঃ এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় বেঘোরে প্রাণ হারাল এক তরতাজা স্কুল পড়ুয়া কিশোর।উক্ত কান্ডে এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে।ঘটনার পর ঘাতক গাড়িটি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় বলে জানা গেছে।
ঘটনার বিবরনে প্রকাশ অসম-ত্রিপুরা রাজ্য সীমান্তের বাজারিছড়া থানাধীন কাঁঠালতলি পুলিশ ফাঁড়ীর অধিনস্থ বাঘন গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের বড় ছেলে আজহার উদ্দিন(১৫)প্রতি দিনের মত মা বাবার সাথে দুপুরের খাওয়া দাওয়া শেষ করে বুধবার বিকাল তিনটে নাগাদ কাঁঠালতলি বাজারস্থিত নিজ কাকার ব্যবসায় সাহায্য করার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়।পরে তাকে এদিন বিকেল চারটা নাগাদ স্থানীয় মানব বিকাশ বিদ্যালয় সংলগ্ন স্থানে গুরতর আহত ও রক্তালুপ্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।পরে স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে আহতের
হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন
পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে তাকে সঙ্গে সঙ্গে কদমতলা সামাজিক হাসপাতালে ভর্তি করান।কিন্তু তার অবস্থা বেগতিক থাকায় সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ধর্মনগর মহকুমা হাসপাতালে প্রেরণ করেন।পরবর্তিতে উক্ত রাতে তাকে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।কিন্তু ভাগ্যের নিষ্টুর পরিহাসে শিলচর পৌছার আগেই মাঝ রাস্তায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে কিশোর আজহার।এমন খবরে কান্নার রোল পড়ে মৃতের মা বাবা ও আত্মিয় পরিজনদের মধ্যে।পরে এলাকার জনগন সুবিচারের দাবিতে মৃতদেহ পুলিশের হাতে সঁপে দিয়ে এ কান্ডে জড়িত পলাতক ঘাতক গাড়িটি খোঁজে বের করে চালকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহনের দাবি জানান।এ ব্যাপারে কাঁঠালতলি পুলিশের ইনচার্জ দিবাকর গগৈ জানান যে রাতেই ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ করিমগঞ্জ সিভিল হসপিট্যালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।পরবর্তিতে আজ বৃহষ্পতিবার ময়না তদন্ত শেষে মৃতদেহ পরিবারবর্গের হাতে সমঝে দেওয়া হয়।পাশাপাশি এ কান্ডে জড়িত ঘাতক গাড়িটিকে ধরতে পুলিশের পক্ষে সবদিকে জাল বিছানো হয়েছে।এদিন বিকাল পাচটায় উত্তর বাঘন গ্রামের জগাউরা কবরস্থান সংলগ্ন মাঠে প্রয়াতের জানাজার নামাজ শেষে মৃতদেহ কবরস্থ করা হয়।এদিকে আজহারের মৃত্যু রহস্য নিয়ে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান আজহার এদিন বাজারে যাওয়ার জন্য একটি লাল
রংয়ের মিনি ট্রাকে ওঠে।পরবর্তিতে সে কাঁঠালতলি বাজারে না পৌছে বাঘন বালিছড়ারপার এলাকায় পৌছে দুর্ঘটনাগ্রস্থ হল কি ভাবে।তাছাড়া দুর্ঘটনা পরবর্তি সময়ে ঘাতক গাড়িটি পালিয়ে গেল কিভাবে।কেননা এ সময়ে মানব বিকাশ বিদ্যালয় সংলগ্ন স্থানে মানুষের প্রচুর ভিড় থাকে।এবার দেখা যাক পুলিশি তদন্তে মৃতের পরিবার সুবিচার পান কি না।
0 মন্তব্যসমূহ