মধু, কিশোর, গীতা,মতিলাল সহ তাদের পালনকারীরদের মধ্যে তীব্র খাদ্য সংকট-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা

১৪ জুন

মঙ্গলবার

তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ মধু, কিশোর, গীতা,মতিলাল সহ তাদের পালনকারীরদের মধ্যে তীব্র খাদ্য সংকট । ক্ষুদার্থ সেই চারটি পালিত হাতি যেকোনো সময় 

হামলা আছরে পড়তে পারে রক্ষণাবেক্ষণকারী দের উপর। এমনই ঘটনা তেলিয়ামুড়া মহকুমা আঠারোমুড়া পাহাড়ের মুঙ্গিয়াকামীর ৩৭ মাইল স্থিত হাতি ক্যাম্পে। কিছুদিন পূর্বে ঘটা করে পর্যটকদের আনন্দ দেওয়া এবং হাতি ক্যাম্পে পর্যটকদের ভিড় জমানোর উদ্দেশ্যে ঘটা করে উদ্বোধন করা হয়েছিল এই হাতি ক্যাম্পটি। অভয় অরণ্য সিপাহীজলা থেকে মধু কিশোর,মতিলাল এবং গীতা কে আনা হয়েছে এই হাতি ক্যাম্পে।কিন্তু বর্তমানে ১০-১৫ দিন ধরে পার্কে বসবাসকারী চারটি হাতি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যারা রয়েছে তাদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে তীব্র 

                                            হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

জল সংকট এবং খাদ্য সংকট।তেলিয়ামুড়া  মহকুমা বন দপ্তরের  এস ডি এফ ও তথা সাবীর কান্তি দাস এর কাছে তাদের এই দুঃখ দুর্দশার কথা জানালেও  কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।এদিকে রক্ষণাবেক্ষণকারী দের পানীয় জলের সংকট, এছাড়াও অন্যান্য কাজের জন্য তীব্র  জলের সংকট দেখা দিয়েছে। হাতি গুলি স্নান ও খাবার জলের চরম  অব্যবস্থা। সেই সাথে হাতি গুলির খাবারের ও পর্যাপ্ত পরিমাণে যোগান দিতে পারছনা ব্যর্থ বনদপ্তর।  রক্ষণাবেক্ষণকারীরা খাবারের অভাবে ভুগছে দীর্ঘদিন ধরে। একপ্রকার অসহায় হয়ে  বারবার তেলিয়ামুড়া  বনদপ্তর এর কাছে যোগাযোগ করে ও যখন  ব্যর্থ তারা। ফলে বাধ্য হয়ে রাজ্য বন অধিকর্তা তথা পি সি সি এফ মহাশয়ের কাছে ফোন যোগে  সমস্ত ঘটনা জানান রক্ষণাবেক্ষণকারী তথা মাউথদাররা। তাৎক্ষণিক রাজ্য বন আধিকারিক তেলিয়ামুড়া মহকুমা বনদপ্তরে এ বিষয়ে জানতে চাইলে, বনদপ্তর এর মহকুমা বন আধিকারিক তথা এস ডি এফ ও সাবির কান্তি দাস মুঙ্গিয়াকামী ৩৭ মাইল স্থিত হাতি ক্যাম্পে গিয়ে রক্ষণাবেক্ষণকারী দের চূড়ান্ত পরিমাণে ইংরেজি ভাষায় গালিগালাজ করে। তৎসঙ্গে জানতে চান কেন এই কথাগুলি রাজ্য পিসিসিএফ  কে জানানো হয়েছে। এদিকে হাতি ক্যাম্পে এর দায়িত্বে থাকা রক্ষণা বেক্ষণকারীরা জানান, বিগত ১০-১৫ দিন যাবত এই ক্যাম্পে পানীয় জলের পাশাপাশি খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। বনদপ্তর এর নির্দেশিকা অনুসারে হাতি গুলোকে ক্যাম্পের মধ্যে রেখেই খাদ্যসহ পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে হবে। রক্ষণা বেক্ষণকারীরা আরো জানান, ক্যাম্পের মধ্যে হাতিদের জন্য যে পুকুর কেটে জলের ব্যবস্থা করা হয়েছিল সেই পুকুরের জল নোংরা ও পানীয় অযোগ্য হয়ে যাওয়াতে হাতি গুলি যেতে চাই না। বিগত দিন গুলিতে হাতির রক্ষণা বেক্ষণকারীরা তথা মাউথদার মুঙ্গিয়াকামি পাহাড়ের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে হাতি গুলোকে খাবারের ব্যবস্থা করত।কিন্তু বনদপ্তর এর নির্দেশিকা অনুসারে হাতিগুলোকে ক্যাম্পের মধ্যে রাখার নির্দেশ দেওয়া হলে হাতি গুলি পর্যাপ্ত খাদ্যের অভাবে ভুগছে।আর হাতি গুলিকে যদি পায়ের শিকল খুলে খাবারের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় তবে রক্ষণাবেক্ষণকারী দের উপর আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হুঁশিয়ারি দেন এস ডি এফ ও সাবির কান্তি দাস। এদিকে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে যারা রয়েছে তাদের মধ্যেও পানীয় জল এবং খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানান। তারা আরো জানান, হাতির রক্ষণাবেক্ষণের কাজের পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। ফলে তাদের সংসার প্রতিপালনের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্ষুধার্ত হাতি গুলি যে কোন সময় হামলে পড়তে পারে রক্ষণা বেক্ষণকারী দের ওপর। আজ তথা সোমবার হাতি ক্যাম্প ক্ষুদার্থ পেতে থাকা হাতি কিশোর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা হেলপারের উপরে হামলা চালায়। 

যদিও তার চতুরতার কারণে অল্পেতে প্রাণে বাঁচল সে। যদিও সোমবার গাড়ি করে কিছুতো  জলের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এখন দেখার বিষয় ক্ষুধার্ত হাতি গুলি এবং হাতি গুলি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের এহেনু অবস্থা একই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন সংশ্লিষ্ট বনদপ্তর।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu