আদালতের নির্দেশকে কলাপাতা বানিয়ে শিক্ষকরা রমরমা টিউশন বাণিজ্য চালাছে-Sabuj Tripura

সবুজ ত্রিপুরা

২১ জুন

মঙ্গলবার

বক্সনগর প্রতিনিধিঃ আদালতের নির্দেশকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বক্সনগর ও রহিমপুরে রমরমিয়ে চলছে বেআইনি টিউশন বাণিজ্য।স্কুল কামাই করে রামভক্ত একাধিক শিক্ষক বাড়িতে বসেই বুক ফুলিয়ে চালাচ্ছে টিউশন ব্যবসা।শিক্ষা দপ্তর থেকে আজ পর্যন্ত 

কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় তাদের এই বেআইনি বাণিজ্য গোটা এলাকায় চলছে রমরমা।হাইকোর্টের পরিষ্কার নির্দেশ রয়েছে যে স্কুল চলাকালীন সময়ে কোন শিক্ষক টিউশনি করতে পারবেনা।তাদের প্রশাসন থেকে এমনই একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে কোনো সহকারী শিক্ষক যাতে টিউশন বাণিজ্য না করে।কিন্তু নজরদারির অভাবে জাঁকিয়ে বসেছে সরকারি এবং বেসরকারি শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন বাণিজ্য।সকাল সন্ধ্যা বহু শিক্ষকের ঘরে ভিড় থাকছে ছাত্র-ছাত্রীদের।বহু শিক্ষক এই বেআইনী বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে প্রত্যহ।

                                            হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

অথচ নিজের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীকে বাড়িতে বহু টাকার বিনিময়ে স্কুলে মন্ত্র পড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে শিক্ষকরা।লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে হাইকোর্ট এবং প্রশাসনের নির্দেশকে কলাপাতা বানিয়ে বক্সনগর এবং রহিমপুরে একাংশ রামভক্ত শিক্ষক চুটিয়ে টিউশন বাণিজ্য চালাচ্ছে।মাসের অধিকাংশ দিনই তারা স্কুল কামাই করছে।নিয়মিত ক্লাস করছে না। তা না করে এই রাম ভক্ত শিক্ষকরা বাড়িতে একের পর এক ব্যাচ পড়িয়ে লক্ষ টাকা রোজগার করছে।আর সময় মতো স্কুলে না গিয়ে স্কুলের পঠন পাঠন ব্যবস্থাকে সম্পুর্ন লাঠে ফেলেছে।এই দুই শিক্ষকের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা।জোটি শিক্ষক স্কুল ফাঁকি দিয়ে বাড়িতে বসে টিউশন বাণিজ্য চালাচ্ছেন এমনটাই অভিযোগ উঠছে অভিজ্ঞ মহল থেকে।জানা যায় তারা সপ্তাহে চারদিন স্কুল করে আর বাকি তিন দিন বাড়িতে বসেই রহিমপুর দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের সমস্ত স্কুল ছাত্রদের টিউশন করে থাকেন।এই দুই গুণধর শিক্ষক স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ম্যানেজ করে স্কুলে না গিয়ে এভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন টিউশন বাণিজ্য।কোন কোনো সময় তারা পার্টির দোহাই ও হুমকি দিতেও দ্বিধাবোধ করেন না বলে জানান প্রধান শিক্ষক।এমনই দুই গুণধর রামভক্ত শিক্ষক হলেন রহিমপুরের মোঃ শরিফুল ইসলাম,পিতা মাকসুদ আলী,অপর জন হলেন বিশাল গড়ের সিপনূর আজাদ । তাদের দুজনের বাড়ি সিপাহীজলা জেলার রহিমপুর ও বিশালগড় এলাকায়।২০১৮ সালে এসটিজিটি শিক্ষা দপ্তরে টেট পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে স্কুলের চাকরি পান।এর আগে বেকার অবস্থায় দুই গুণধর শিক্ষক টিউশন করে সংসার চালাতো।তখন তারা এই দুইজনও অন্যে স্কুল টিচার টিউশন করলে আন্দোলন করে।কিন্তু তারা উল্টোটা করছে আজ।দুই শিক্ষকের মধ্যে শরিফুল ইসলাম বিলোনিয়া রাজনগর স্কুলে শিক্ষকতা করেন  গত চার বছর যাবৎ।অপরদিকে সিপনূর আজাদ বক্সনগর দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় গত প্রায় 14 বছর য বছর যাবৎ শিক্ষকতা করে আসছেন এইভাবে ফাঁকি দিয়ে।করুনা থাকাকালীন সময়ে এই দুই গুণধর শিক্ষক স্কুলে না গিয়ে বাড়িতে বসে টিউশন বাণিজ্যের ব্যস্ত থাকে।এই দুই গুণধর শিক্ষকের যন্ত্রণায় বাকি বেকার শিক্ষকরা টিউশন করতে পারছেন না বলে অভিযোগ।তাদের দাবি রহিমপুর দ্বাদশ শ্রেণীর বিদ্যালয়ের ও বক্সনগর দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় নবম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় ২৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী তাদের কাছে ১ হাজার টাকার বিনিময়ে পড়তে হয়।দুই শিক্ষক দুই বিভাগের।শরিফুল ইসলাম সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক।আর সিপনূর আজাদ  কলা বিভাগের শিক্ষক বলে দাবি করেন।এই দুই শিক্ষক আলাদা আলাদা ভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে এক হাজার টাকা করে ব্যাজ পড়িয়ে থাকেন।কিন্তু তা সাধারন গরিব শ্রেণীর মানুষ দিতে অনেকটা হিমশিম খেয়ে যায়। তারপরেও অন্য ছাত্র ছাত্রীদের দেখাদেখি গরিবদেরকেও বাধ্য হয়ে পড়তে হয়।এলাকাবাসীর দাবি কয়েকজন শিক্ষকের দ্বারা বেকার শিক্ষক যুবকরা পড়ানোর 

জন্য ছাত্র-ছাত্রী পাচ্ছে না।এই সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে কি কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবেনা রাজ্য সরকার।এককথায় গুণধর শিক্ষকরা হাইকোর্টের নির্দেশ কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে টিউশন ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।শিক্ষা দপ্তরের কি কেউই নেই এইসব এর বিরুদ্ধে নজরদারি করার।এতটাই অসহায় এখন শিক্ষা দপ্তর।যে শিক্ষককের নৈতিকতা হারিয়ে বেআইনি ব্যবসায় নেমেছেন। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি চাই। না হলে এই প্রতিবাদের কলম বন্ধ হবে না চলতে থাকবে ক্রমশ।

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu