বাড়ি থেকে ফোন করে ডেকে এনে খুন করা হলো ২৯ বছর বয়সী এক তরতাজা প্রাণের-Sabuj Tripura

সবুজ ত্রিপুরা

০৭ মে

শনিবার

তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ গত কিছুদিন পূর্বে ধলাই জেলায় জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে খুন হয়েছিল তিনজন। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বাড়ি থেকে ফোন করে ডেকে এনে মদের আসরে খুন করা 

হলো ২৯ বছর বয়সী এক তরতাজা প্রাণের। ঘটনা তেলিয়ামুড়া থানাধীন ডি.এম.কলোনী শুক্রবার রাতে। খুন হওয়া যুবকের নাম অনূপ সূত্রধর (২৯)।ঘটনার বিবরণে জানা যায়,, তেলিয়ামুড়া থানা এলাকার ডি.এম কলোনি এলাকার বাসিন্দা অনূপ সূত্রধর'কে তার বাড়ি থেকে কিছু দূরে এক বাড়িতে ফোন করে ডেকে নিয়ে যায় একই এলাকার বাসিন্দা প্রশান্ত সূত্রধর, প্রসেনজিৎ সরকার, গৌতম সরকার, রতন সরকার, পরিতোষ সূত্রধর,সহ প্রীতম সূত্রধর। এবং সেখানে চলে আকন্ঠ মদ্যপানের আসর। এবং সেই মদ্যপানের আসরে কোন এক বিষয়কে কেন্দ্র করে প্রথমে কথা কাটাকাটি এবং পরবর্তীতে হাতাহাতির রূপ নেয়। পরিকল্পিতভাবে অনুপ'কে প্রশান্ত, প্রসেনজিৎ, গৌতম, রতন, পরিতোষ সহ প্রীতম মাথায় এবং শরীরে প্রচন্ড ভাবে আঘাত করে। এবং সেই মদের আসর থেকে সরিয়ে নিয়ে প্রফুল্ল সরকারের ঘরের পেছনে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রাখে। এবং অনূপের বাড়িতে ফোন যুগে জানায়  যে অনূপ রক্তাক্ত অবস্থায় প্রফুল্ল সরকারের বাড়িতে পড়ে রয়েছে। এই খবর পেয়ে অনূপের পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি অনূপকে উদ্ধার করে  তেলিয়ামুড়া 

                                           হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য আগরতলা জিবিপি হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তবে চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় ভোর তিন'টা থেকে চার'টা নাগাদ সে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করে।খবর নিয়ে জানা যায়, অনুপ পরিতোষ এবং প্রীতমের নিকটাত্মীয়। কোন বিষয়কে কেন্দ্র করেই নাকি এই ঘটনা সংঘটিত করেছে।  ঘটনার খবর পাঠানো হয় তেলিয়ামুড়া থানায়। তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে প্রফুল্ল সরকারের ঘরের পেছনের দিকে থেকে একটি কাঠের মুকুর উদ্ধার করেছে। তাছাড়া প্রফুল্ল সরকারের বাড়ির উঠানে  টানা হেচরা করার পায়ের চিহ্ন ও পাওয়া গেছে। তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ শুক্রবার রাতেই প্রসেনজিৎ সরকার'কে সন্দেহবশত আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এবং পরবর্তীতে শনিবার সকালে প্রশান্ত সূত্রধর, গৌতম সরকার, এবং রতন সরকার'কে সন্দেহ বশত থানায় তুলে আনে। যদিও এই ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত পিতা পুত্র  যথাক্রমে পরিতোষ সূত্রধর এবং প্রীতম সূত্রধর পরিবার-পরিজন নিয়ে  পলাতক।তবে যাই হোক, অনূপ হত্যার সম্পূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসবে পুলিশি তদন্তের মধ্য দিয়ে। তেলিয়ামুড়া  থানার পুলিশ একটি মৃত্যু মামলা গ্রহণ করে তদন্ত শুরু করেছে।

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu