সবুজ ত্রিপুরা
২৮ মে
শনিবার
বক্সনগর প্রতিনিধিঃ চুরির অপবাদ দিয়ে কালাপানিয়া এলাকার আকলিমা খাতুন এবং তার স্বামী লোকমান মিয়া কে মারধর করে পাশের বাড়ির সাহেনা বিবি এবং তার স্বামী বাবুল মিয়া।
উল্লেখ্য বুধবার সন্ধ্যারাতে লোকমান মিয়া বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে যখন বাবুল মিয়ার বাড়ির সামনে আসেন তখন আচমকাই সাহেনা বিবি এবং তার স্বামী বাবুল মিয়া লোকমান মিয়াকে প্রচন্ডভাবে মারধর করেন।এদিকে মারধরের ফলে লোকমান মিয়ার মাথায় আঘাত লাগে এবং তার মাথা ফেটে যায় এদিকে তার কাঁদেও বাজারের ব্যাগভর্তি চাউল এবং অন্যান্য সামগ্রী ছিল। এই চাউল ভর্তি ব্যাগ সহ মাটিতে ফেলে দেয়। তার চিৎকার চেঁচামেচি শুনে স্ত্রী আকলিমা খাতুন ছুটে আসেন, তখন আকলিমা খাতুন কে ,তার স্বামীর সামনে চুলে ধরে টেনে হেঁচড়ে মাটিতে ফেলে দেয় । এবং সাহেনা বিবি স্বামী বাবুল মিয়া এবং শুয়া মিয়াসহ সবাই মিলে আকলিমা খাতুন কে কিল ঘুষি মারতে থাকেন । তার চিৎকার চেঁচামেচি শুনে পাশের বাড়ির অন্যান্য মানুষজন ছুটে আসেন। মানুষ এসে উনাদের হাত থেকে আকলিমা খাতুন কে উদ্ধার করেন।এদিকে এলাকার প্রত্যক্ষদর্শীদের সহযোগিতায় আকলিমা খাতুন এবং লোকমান মিয়াকে সোনামুড়া হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় । এদিকে স্ত্রী আকলিমার দাবি আকলিমা সাধারণ দীন-দরিদ্র
হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন
একজন মানুষ, দিন আনে দিন খায় । তিনি সোনামুড়া হাসপাতাল থেকে তার স্বামীকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। বাড়িতে নিয়ে এসে বাড়িতেই তাঁর সাধারণ চিকিৎসা করান তিনি । কারণ হাসপাতলের খরচ তিনি বহন করতে পারবেন না। আকলিমা এদিকে দাবি করেন তার স্বামী নিরুপায় মানুষের ধারে ধারে হাত পেতে স্ত্রী এবং বাচ্চাদের জন্য চাউল এনেছিলেন।এই চাউল সাহেনা বিবি এবং তার স্বামী বাবুল মিয়া মাটিতে ফেলে দেয় । এদিকে দুই সন্তানসহ চারজনের সংসার আকলিমার । তারা এখন কি খেয়ে বাঁচবেন এ চিন্তায় তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ।এদিকে জানা যায় বাবুল মিয়ার বাড়ি বাংলাদেশের ঢাকা নারায়ণগঞ্জ। তার ভারতের কোন তেমন নাগরিকত্ব নেই , জানা যায় তিনি দালালের মাধ্যমে ডুবলিকেট একটি আধার কার্ড বানিয়েছেন । তার এই আধার কার্ড ছাড়া অন্য কোন ডকুমেন্টস নেই বলে জানা যায় । এই বাবুল মিয়া প্রতিনিয়ত এলাকার মহিলাদেরকে উত্তপ্ত করেন। এবং এলাকার মানুষজনের সাথে প্রতিনিয়ত খারাপ বিশ্রী ভাবে গালমন্দ করেন। এলাকাবাসী দাবি করেন একজন বাংলাদেশী হয়েও তিনি কি করে এলাকার মহিলাদের উপর নির্যাতন চালায়। জানা যায় সুয়া মিয়ার মেয়েকে বিয়ে করে প্রায় ১৪ বছর ধরে এখানে বসবাস করছেন। এদিকে এই বাবুল মিয়ার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে গোটা এলাকা।এই ঘটনার বিবরণ জানিয়ে সোনামুড়া থানায় মামলা করেন আকলিমা ।এ দিকে এলাকাবাসীর দাবি তোলেন পুলিশ প্রশাসন যাতে সুষ্ঠু তদন্ত করে বাবুল মিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। জানা যায় আকলিমা খাতুন সোনামুড়া থানায় মামলা দায়ের করার পর আকলিমা খাতুন এবং তার স্বামীকে প্রাণনাশের হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ তোলেন আকলিমা খাতুন। এদিকে মামলা করার পর সোনামুড়া থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত করলেও আসামীদেরকে এখনো গ্রেপ্তার করেনি।
জানা যায় সাহেনা বিবি স্বামী বাবুল মিয়া এবং সুয়া মিয়া পলাতক রয়েছেন ।এ নিয়ে গোটা এলাকায় সাহেনা বিবি এবং তার স্বামীর বিরুদ্ধে ছি ছি রব ওঠে । এবং আসামিকে অতিসত্বর গ্রেপ্তার করার জন্য সোনামুড়া থানার বড়বাবু কে অনুরোধ রাখেন। এনিয়ে গোটা এলাকায় রীতিমতো চাঞ্চল্য এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
0 মন্তব্যসমূহ