পাহাড়ে ধস, প্রবল বর্ষণ জলের তলায় রেললাইন,সড়কপথেও বিচ্ছিন্ন ত্রিপুরা-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা

১৭ মে

মঙ্গলবার

কদমতলা প্রতিনিধিঃ পাহাড়ে ধস, প্রবল বর্ষণ জলের তলায় রেললাইন। সড়কপথেও বিচ্ছিন্ন ত্রিপুরা। আটকে আছে শত শত লরি।প্রায় একহাজার যাত্রী নিয়ে মাইবং স্টেশনে আটকা পড়েছে শিলচর গামী ট্রেন। 

ভারতীয় সেনার হেলিকপ্টারে করে কিছু যাত্রীকে শিলচরে আনা হয়েছে। মেঘালয়ের সোনাপুর ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় রাস্তার উপর বড়ো বড়ো পাথর পড়েছে। জায়গায় জায়গায় ভূমিস্খলন হয়েছে। আটকে আছে ত্রিপুরা, বরাক ও মিজোরাম গামী শত শত লরি। বিশেষ করে ত্রিপুরা গামী বহু পন্যবাহী লরি আটকে রয়েছে। যাত্রীবাহি গাড়ি গুলিও ফেসে আছে, ভোগান্তির শেষ নেই যাত্রীদের মিলছেনা খাবার দাবার। শনিবার রাত্রি বেলা থেকেই গাড়ি গুলি আটকা পড়ে। তার মধ্যে ত্রিপুরাগামী নাইট সুপারও রয়েছে।নিউ হাফলং থেকে বান্দরখাল অবধি প্রায় ২৫ টি জায়গায় ধস পড়েছে। ডিমাহাসাও জেলার দুটি পাহাড়ি  রেলস্টেশনের মধ্যে একশো মিটার রেললাইনের নিচের মাটি সরে গেছে। ডিটেকছড়াতে ২৯৮ নাম্বার রেলওয়ে ব্রীজে ফাটল দেখা দিয়েছে বলে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে। অপরদিকে হাফলং থেকে শিলচরের জাতীয় সড়কটিও বন্ধ হয়েগেছে। প্রবল বর্ষণে ত্রিপুরা, বরাক ও মিজোরাম বিচ্ছিন্ন হয়েগেছে সড়ক ও রেলপথে।ডিমাহাসাও জেলার জেলা শাসক  নাজরিন আহমেদ রবিবার নিউ হাফলং স্টেশন পরিদর্শন করেন। জেলাশাসক জানান বৃষ্টির জন্য এনএফ রেলওয়ে কাজ করতে পারছে না। তারা চেষ্টা করছে অনেক জায়গায় রেলওয়ে ট্রেক রেডি নয় এগুলিকে মেরামত করতে হবে। আটকা পড়া রেল যাত্রীদের মধ্যে বয়স্ক একশো জন যাত্রীকে হেলিকপ্টারে করে 

                                           হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

শিলচরে তাদের গন্তব্যে পাঠানো হয়েছে। আরো জানায়ায় পাহাড় লাইনে ক্রমাগত বৃষ্টি হচ্ছে। তাতে এন এফরেলওয়ে ঠিক মতো কাজ করতে পারছে না। মুষুলধারে বৃষ্টি হওয়ার কারণে কবে কাজ শেষ হবে তা বলা যাবেনা। তবুও আনুমানিক ১০-১৫ দিন লাগতে পারে বলে জানায়ায়।আগরতলা থেকে দূরপাল্লার ট্রেন গুলি ছাড়ছে না। যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu