২৭ এপ্রিল
বুধবার
বক্সনগর প্রতিনিধিঃ সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ঘোষণা করেছিলেন নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গঠন করবেন৷
কিছুদিনের মধ্যেই বিপ্লব দেবের দলীয় নেতারা নেশা কারবারের সাথে যুক্ত হয়ে যেতে দেখা যায় গেছে ৷ তখন থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় এই সরকার শাসনকালে ত্রিপুরা রাজ্য কে কোনভাবেই নেশা মুক্ত করা যাবে না৷ রাজ্যবাসীর জানা আছে সীমান্ত এলাকা বক্সনগর নেশা কারবারের জন্য বিশেষ স্থান দখল করে রেখেছে ৷ সোনামুড়া মহকুমার উত্তরাংশে অবস্থিত বক্সনগর বিধানসভা ৷ রাজ্যের অন্যান্য স্থানের মতো সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর দীর্ঘদিন সিপিএম দলের পতাকাতলে থেকেই যারা সমাজের সমস্ত খারাপ কাজগুলি করত তারাই রং পরিবর্তন করে শাসক দল বিজেপি তে যোগদান করে নেয় এবং তাদের পূর্বের কুকীর্তি গুলি ধারাবাহিকভাবে করতে থাকে৷ রাজ্যের রাজনৈতিক রাজনৈতিক দাদা -দিদিদের
হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন
আশ্রিত মাফিয়ারা নেশা কারবারের সমস্ত কাজ পরিচালনা করেন তা গত চার বছরে বারবার প্রমাণিত হয়েছে ৷ বক্সনগর স্থিত কলমচৌড়া থানার এস আই দুর্গা কুমার রাঙ্কল কে নেশা কারবারিরা দুই বছর পূর্বে গাড়ি চাপা দিয়ে মেরেফেলে৷ যেই মামলায় নেশা কারবাড়ির মূল পান্ডা কে পুলিশ হাতের নাগালে আনতে পারিনি৷ কারণ সেই নেশা কারবাড়ি ছিল মহাকুমার এক রাজনৈতিক দিদির ছোট ভাই৷ পরবর্তী সময়ে মহকুমা তে সমস্ত নেশা কারবার পরিচালনা করতে থাকে রাজনৈতিক দাদা- দিদিদের ভাইয়েরা৷ রবিবার তারই প্রমাণ পাওয়া যায় কলমচৌড়া থানা এলাকার অন্তর্গত বাগবের পঞ্চায়েতের ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিষ্ণু সরকারের বাড়িতে৷ উল্লেখ্য বিষ্ণু সরকারের বড় ভাই কানু সরকার বক্সনগর মন্ডল কমিটির একজন বিশেষ সদস্য এবং বক্সনগর পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচিত সদস্য৷ গোপন সূত্রের ভিত্তিতে রবিবার রাত সাড়ে আটটার সময় কলমচৌড়া থানার পুলিশ কানু সরকারের বাড়িতে অভিযান চালায়৷ অভিযান চলে রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত৷ অভিযানের সময় মন্ডল সদস্য কানু সরকারের ভাই বিষ্ণু সরকারের ঘর থেকে ৪১ কেজি শুকনো গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ ৷ অভিযানের নেতৃত্ব দেন কলমচৌড়া থানার ওসি বিষ্ণুপদ ভৌমিক৷অভিযান চলাকালীন সময় নেশা কারবারি বিষ্ণু সরকার বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়৷এই সময় মন্ডল সদস্য কানু সরকার এবং তার পিতা দীনেশ সরকার কে সামনে রেখে পুলিশ অভিযান চালায়৷ এই ব্যাপারেকলমচৌড়া থানায় একটি এনডিপিস মামলা নেওয়া হয়৷ মামলার তদন্তকারী অফিসার নিয়োগ করা হয় এস আই শংকর দাস কে ৷ মামলার নাম্বার 15/22 মামলার ধারা নেওয়া হয় 20(b)( !!)( c)/25/29 অফ এন ডি পি এস অ্যাক্ট-1985 | উল্লেখ্য মন্ডল সদস্য কানু সরকার সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর গত চার বছরে তার ভাইয়ের নামে বারবার বেনিফিসারী নিয়ে একজন বোগীর ভূমিকা গ্রহণ করেছেন বলে এলাকায় বারবার অভিযোগ উঠছে ৷সে তার দুই ভাইয়ের নামে ইতিমধ্যেই দুইটি সরকারি ঘর এর বেনিফিসারী নিয়ে নেয়৷ কিছুদিন পূর্বে তার বাই বিষ্ণু সরকারের নামে ধান মাড়াই মেশিন বেনিফিসারী হিসেবে নেয়৷
যেই মেশিনের দাম লাখ টাকার উপরে ৷ সেই মেশিন প্রতিবেশী কবির হোসেনের কাছে মাত্র ৩০ হাজার টাকা বিক্রি করে দেয় ৷ এই হল শাসক দলের নেতাদের আসল চেহারার কাজ ৷ ফলে ত্রিপুরা রাজ্যের উন্নয়ন হওয়া এই শাসনকালে মোটেও সম্ভব নয় তা বলার অপেক্ষা রাখেনা৷নেতাদের এই ধরনের কার্যকলাপের মাঝে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব কোনভাবেই উনার ঘোষিত মিশন সফল করতে পারবে না তা নিশ্চিত ভাবে বলা যায়৷
0 মন্তব্যসমূহ