বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালের একাংশ চিকিৎসকের জন্য হাসপাতালের স্বাস্থ্য ব্যাবস্থা তলানিতে গিয়ে ঠেকছে-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা

১৯ এপ্রিল 

মঙ্গলবার

বিশালগড়  প্রতিনিধিঃ দিন যতই যাচ্ছে ততই যেনো বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালের একাংশ চিকিৎসকের জন্য হাসপাতালের স্বাস্থ্য ব্যাবস্থা তলানিতে গিয়ে ঠেকছে। 

চিকিৎসকের কাজ হলো রোগীকে সুস্থ রাখা, কিন্তু বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালের একাংশ চিকিৎসক রোগীদের সঠিক চিকিৎসা দেওয়ার পরিবর্তে মাসের পর মাস সরকারী বেতন গুনে যাচ্ছে। আবারো চিকিৎসকের গাফিলতিতে দুর্ঘটনাগ্রস্ত রোগীকে হাসপাতালের মেঝেতে পড়ে কাতরাতে কাতরাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে হয়েছে। মৃতের নাম অমর ভৌমিক। বাড়ি বিশালগড় থানাধীন চাম্পামুরা এলাকায়। কিন্তু অবাক করার বিষয় হচ্ছে দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকরা দাড়িয়ে দাড়িয়ে তামাশা দেখছে, চিকিৎসকের দাবি ওই গুরুতর অসুস্থ রোগীর বাড়ির লোক না থাকায় ওই গুরুতর অসুস্থ রোগীকে হাপানিয়া হাসপাতালে রেফার করা হয়নি। খবরে প্রকাশ সোমবার 

                                           হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

রাতে দারোগাবাড়ি এলাকায় বাইক দুর্ঘটনার শিকার হয় অমর ভৌমিক নামে এক ব্যাক্তি। পরবর্তী সময় খবর পেয়ে বিশালগড় দমকল বাহিনীর কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনাগ্রস্থ ব্যাক্তিকে উদ্ধার করে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে। এদিকে হাসপাতালে নিয়ে হাসপাতালের কর্ত্তব্যরত দুই চিকিৎসক দুর্ঘটনাগ্রস্থ ব্যাক্তিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছে, কিন্তু ধীরে ধীরে দুর্ঘটনাগ্রস্থ ব্যাক্তি অমর ভৌমিকের অবস্থা অবনতি।হতে থাকে, কিন্তু অবাক করার বিষয় হচ্ছে এদিন রাতে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালের কর্তব্যরত ২ চিকিৎসক তান্মিষ্ঠা চৌধুরী এবং শম্ভু লাল কান্তি চকামা উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই গুরুতর আহত ব্যাক্তিকে  হাপানিয়া হাসপাতালে রেফার করেনি। চিকিৎসকের দাবি পরিবারের কোনো লোকজন না থাকায় গুরুতর আহত হওয়া সত্ত্বেও তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীতে রেফার করা হয়নি। যার দরুন দীর্ঘ ২ ঘণ্টা যাবৎ দুর্ঘটনাগ্রস্থ ব্যাক্তি অমর ভৌমিক চিকিৎসার অভাবে উক্ত হাসপাতালের মেঝেতে কাতরিয়ে কাতরিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। যা নিয়ে রীতিমতো হাসপাতালের দুই চিকিৎসকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এদিকে মৃতের বাড়ির লোকের অভিযোগ যদি যথাসময়ে তাকে উন্নত চিকিৎসা প্রদান করা যেত তাহলে অমল ভৌমিকের মৃত্যু হত না। তবে শুধু তাই নয় বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে কোনো রোগী আসলে, প্রাথমিক চিকিৎসা পর্যন্ত সঠিক ভাবে দেওয়া হয় না, চিকিৎসার বিভিন্ন সরঞ্জাম যেগুলি হাসপাতাল থেকে দেওয়া হয়, সেগুলিও বেশিরভাগ সময় রোগীর চিকিৎসার জন্য রোগীর আত্মীয়রা বাইরে দোকান থেকে টাকা দিয়ে কিনে আনতে হয়। এই হলো বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালের পরিষেবা। এদিকে এই হাসপাতালে কিরকম পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে, স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করতে ঔষধপত্র ঠিকভাবে আছে কিনা, এবং হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসকরা রোগীদের সঠিকভাবে চিকিৎসা দিচ্ছে কিনা, তার কোনো খুঁজ নেই। কিভাবে খুঁজ থাকবে। হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক ডক্টর জ্যোতির্ময় দাস নিজের ব্যাবসা নিয়ে ব্যাস্ত। হাসপাতালের কোয়ার্টারে তিনি ব্যাবসা খুলে বসেছেন। 

স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করার বদলে কোয়ার্টারে বসে সকাল থেকেই দেখছেন জ্যোতির্ময়বাবু। তবে এই হাসপাতাল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। আজ পর্যন্ত দপ্তর কোনো তদন্ত করেনি। নেই কোনো নজরদারি। ফলে পরিষেবা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উক্ত হাসপাতালের বিরুদ্ধে। রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার বদলে নার্স এবং একাংশ চিকিৎসক মোবাইল নিয়ে ব্যাস্ত থাকেন। ফলে রোগী আসলেই বেশিরভাগ সময় ওই রোগীর সমস্যা না জেনে রেফার করে দেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে এই হাসপাতালে। ফলে সাধারণ মানুষ প্রতিদিন বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের আচরণে ক্ষুব্ধ হচ্ছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu