সবুজ ত্রিপুরা
৪ জানুয়ারি
তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ অচেনাকে চেনা এবং অজানাকে জানা একমাত্র বিজ্ঞানের আশীর্বাদ দ্বারাই সম্ভব। বিজ্ঞান যতটাই উন্নত হচ্ছে স্কুল ছুট ছাত্র-ছাত্রীরা বেশি করে বিদ্যালয়মুখী হয়ে উঠছে। তার কারণ ছাত্র-ছাত্রীরাও
অচেনাকে চেনা এবং অজানাকে জানার জন্য বিদ্যালয়মুখী হচ্ছে। কেবলমাত্র বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দ্বারা এবং হাতে কলমে শিক্ষার মাধ্যমেই ছাত্র-ছাত্রীরা অজানাকে জেনে এবং অচেনাকে চেনে শিক্ষার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করে। এমনই এক বাস্তব চিত্র পাওয়া গেল আঠারোমুড়ার পাদদেশে মুঙ্গিয়াকামী দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে। রাজ্যের বনেদি বিদ্যালয় গুলিতে বিজ্ঞানকে জানার জন্য বিভিন্ন সামগ্রী
বিদ্যালয়ে থাকলেও সেগুলি দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা হাতে কলমে কতটা শিক্ষা নিতে পারে তা প্রশ্ন থেকে গেল। কিন্তু মুঙ্গিয়াকামী দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রত্যক্ষ করা গেল বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিষয়ক শিক্ষকরা ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে কলমে শিক্ষা দিচ্ছে বিজ্ঞান সম্মত সামগ্রী দিয়ে। এগুলির মধ্যে টেলিস্কোপ, দ্রোণ, থ্রিডি প্রিন্টার এর মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। বিজ্ঞানকে জানার জন্য বিদ্যালয়ে পঠন পাঠনে ছাত্র-ছাত্রীদের মনোযোগী করে তোলার জন্য শিক্ষকরা ঐকান্তিক ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে ওই বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরাও বিজ্ঞানকে ভালোভাবে জানার জন্য বেশ উৎসাহ প্রত্যক্ষ করা গেল।
সোমবার মুঙ্গিয়াকামী দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের স্কুল মাঠে ছাত্র-ছাত্রীদের বিজ্ঞান বিষয়ক শিক্ষকরা দ্রোণ চালানোর প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এমন বাস্তব চিত্র রাজ্যের কোন বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রত্যক্ষ করা যাবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ। কিন্তু মুঙ্গিয়াকামী দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শিক্ষা মূলক বিজ্ঞান বিষয়কে অবলম্বন করে স্কুল ছুট ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যালয় মুখী করে তোলার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে মুঙ্গিয়াকামী দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের টিচার ইনচার্জ অভিজিৎ রায় জানান, অটল টিনকেরিং ল্যাবরেটরির মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে কলমে বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে যাতে ছাত্র-ছাত্রীরা বিজ্ঞানকে ভালোভাবে জানে। তিনি এও জানান স্কুল ছুট ছাত্র ছাত্রীরা এর মাধ্যমে স্কুলমুখী হওয়ার জন্য এক অন্যতম মাধ্যম হবে।
0 মন্তব্যসমূহ