ব্যাঙ্কের বিভিন্ন রকম সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত সহ হয়রানির শিকার পরিষেবা নিতে আসা সাধারণ গ্রাহকরা-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা 

১২ জানুয়ারি

বুধবার

তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ ব্যাঙ্কের বিভিন্ন রকম সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত সহ হয়রানির শিকার দূরদূরান্ত থেকে আগত ব্যাঙ্কের পরিষেবা নিতে আসা  সাধারণ গ্রাহকরা। এই ঘটনা ত্রিপুরা স্টেট কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের তেলিয়ামুড়া শাখায়।

জানা যায়, দীর্ঘ প্রায় ৫ থেকে ৬ মাস যাবত ব্যাঙ্কের জরুরী কালীন বিভিন্ন পরিষেবা লাটে উঠেছে। যার ফলে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে দূরদূরান্ত থেকে ব্যাঙ্কের পরিষেবা নিতে আসা সাধারণ গ্রাহকদের এমনটাই অভিযোগ এই ব্যাঙ্কের একাংশ গ্রাহক মহল থেকে।এক ৬০-৬২ বছরের গ্রামীন বৃদ্ধা মহিলা অভিযোগ করে জানিয়েছেন,, "বয়ষ্ক ভাতা নিতাম আইছিলাম বাবু। 

কিন্তু আজ'কে না কাল'কে,কাল'কে না পরশু" এমন ভাবেই একটি মাস কেটে গেল ওই হতভাগী বৃদ্ধার। বৃদ্ধা মহিলা আরও জানিয়েছেন, সংসারের ভরণপোষণ কেবলমাত্র এই বার্ধক্য ভাতার উপরে নির্ভরশীল। জানার তাগিদে বৃদ্ধ মহিলাকে জিজ্ঞেস করলাম, বাড়িতে আপনার কে কে রয়েছে? আধ-ভাঙ্গা কণ্ঠস্বরে বৃদ্ধা জানান, ছেলে মেয়ে সবাই আছে কিন্তু কিন্তু উনার সঙ্গে থাকেন না, স্বামী ও দীর্ঘ বছর দশেক পূর্বে গত হয়েছেন। ব্যাঙ্কে আসার পর পরিষেবা  নিতে গিয়ে কি সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন সেই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,, ব্যাঙ্কের যে বই রয়েছে সে বইটি আপলোডেড করানোর জন্য তিনি এক মাসের মধ্যেই চার থেকে পাঁচবার ব্যাঙ্কের চক্কর কেটেছেন। কিন্তু হতভাগা বৃদ্ধার ব্যাঙ্কের পাস বইটি আপলোডেড করিয়ে দেয়'নি নানান তালবাহানা করে ব্যাঙ্ক কর্মীরা এমনটাই অভিযোগ ব্যাঙ্কের পরিষেবা নিতে আসা ওই হতভাগা বৃদ্ধার।

তবে লোকমুখে গুঞ্জন চলছে ত্রিপুরা স্টেট কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের তেলিয়ামুড়া শাখার বর্তমান শাখা সঞ্চালক দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর থেকেই এই ব্যাঙ্কের কাজকর্ম খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে।তবে ব্যাঙ্কের পাস বই আপলোডডের বিষয়টি শুধু ওই বৃদ্ধাই নয় ব্যাঙ্কে পরিষেবা নিতে আসা আরো অনেক গ্রাহক রাই এই অভিযোগের কথা নিজ নিজ মুখে স্বীকার করেছেন।এখন দেখার বিষয় ত্রিপুরা স্টেট কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের উচ্চ অধিকর্তারা তেলিয়ামুড়া শাখার বিরুদ্ধে কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu