মেলা মানে জাতি উপজাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল অংশের মানুষদের মেলবন্ধন-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা 
৫ জানুয়ারি

বুধবার

তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ মেলা মানে জাতি উপজাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল অংশের মানুষদের মেলবন্ধন। তেলিয়ামুড়া মহকুমা চাকমাঘাটের ব্যারেজ প্রাঙ্গণে দুই 

দিনব্যাপী তীর্থ ও পৌষ সংক্রান্তি মেলাকে কেন্দ্র করে প্রস্তুতি চূড়ান্ত। বুধবার তেলিয়ামুড়া মহাকুমার বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরা চাকমাঘাট ব্যারেজ প্রাঙ্গণে এর প্রস্তুতিতে পরিদর্শক করা হয়। এদিনের এই সভা এবং পরিদর্শনে ছিলেন খোয়াই জেলার সহ সভাধিপতি হরি শংকর পাল, তেলিয়ামুড়া ব্লকের চেয়ারপারসন যমুনা দাস, তেলিয়ামুড়া ব্লকের ভাইস-চেয়ারম্যান অপু গোপ, মুঙ্গিয়াকামি ব্লকের চেয়ারপারসন সুনীল দেববর্মা, তেলিয়ামুড়া মহকুমা পুলিশ 

আধিকারিক সোনা চরণ জমাতিয়া, তেলিয়ামুড়া মহাকুমার ডিসিএম দেবপ্রিয়া দাস,তেলিয়ামুড়া ব্লকের ভিডিও শান্তনু বিকাশ দাস, সহ তেলিয়ামুড়া অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের আধিকারিক। এই দিন  চাকমা ঘাট ব্যারেজ প্রাঙ্গণ এলাকায় মুক্তমঞ্চে এক জরুরি প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাতে আলোচিত হয় দুই দিনব্যাপী তথা ১৪-১৫ জানুয়ারি তথ্য ওপৌষ সংক্রান্তি মেলা কে কিভাবে শান্তি সম্প্রীতি বজায় রেখে করা যায়, পাশাপাশি দূরদূরান্ত থেকে আগত পুণ্যার্থীদের থাকার জায়গা  , এমন কি বিভিন্ন সরকারি দপ্তর এবং স্ব-সহায়ক দলগুলি কোন কোন জায়গায় স্টল খোলা হবে। 


সে দিক থেকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এদিকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা মধ্যে দুই দিনব্যাপী মেলা সম্পন্ন করা হবে বলে উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে জানা যায়। সভাশেষে চাকমা ঘাট ব্যারেজ প্রাঙ্গণের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন মেলা কমিটির সদস্যরা। এ ব্যাপারে বলতে গিয়ে তেলিয়ামুড়া ব্লকের ভিডিও তথা শান্তনু বিকাশ দাস বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও সরকারি উদ্যোগে চাকমা ঘাট ব্যারেজ প্রাঙ্গণে দু'দিনব্যাপী পৌষ সংক্রান্তি মেলার আয়োজন করা হয়েছে। 

এই মেলাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার পুণ্যার্থীরা অংশগ্রহণ করে থাকেন। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে দোকানিরা ব্যবসা করার জন্য এই মেলাতে পসরা সাজিয়ে বসে থাকেন। তিনি আরো বলেন সারাদেশব্যাপী চলে মেলা, এই মেলাকে কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে প্রতি বছরেই। এই বছরও ব্যতিক্রম হবে না বলে তিনি জানান।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu