সবুজ ত্রিপুরা
৩ জানুয়ারি
ধর্মনগর প্রতিনিধিঃ শ্বশুরবাড়ি থেকে গৃহবধূকে বেড় করে দেওয়ার প্রতিবাদে স্বামীর বাড়ির সামনেই স্ত্রীর অধিকার ও ভরণপোষণের দাবীতে স্ত্রী কতৃক অভিনব পদ্ধতিতে ধর্ণা ও সড়ক অবরোধ। ঘটনা কে কেন্দ্রে করে
রীতিমতো ধর্ণা স্থলে কৌতূহলী জনতার ভীড়।ঘটনা ধর্মনগর পশ্চিম বটরশি এলাকায়, অবশেষে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে বলপূর্বক মহিলা কে কন্যা সন্তান সহ ধর্মনগর থানায় নিয়ে যায়। ঘটনার বিবরনে জানা য়ায়, উত্তর জেলার ধর্মনগর থানাধীন পশ্চিম বটরসি এলাকার জৈনক মিঠুন দেবনাথের সাথে ২০১৪ সালে সামাজিক রীতিনীতি মেনেই বিবাহ হয় পানিসাগর মহকুমার উপ্তাখালি এলাকার
জৈনকা অঞ্জনা দেবনাথের ।বিবাহের পর থেকেই স্বামী এবং শশুর বাড়ির লোকজন গৃহবধূ অঞ্জনার উপর নানা ভাবে অত্যাচার চালাত বলে অভিযোগ।এরমধ্যে অঞ্জনা দেবনাথের একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।সময়ের সাথে সাথে শশুর বাড়ি কতৃক অঞ্জনার উপর আক্রমণ এতটাই বাড়ে যে গত বছর দেড়েক আগে স্বামী এবং তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে বাড়ি থেকে বেড় করে দেয় বলেও অভিযোগ ।এ বিষয় নিয়ে বেশ কয়েকবার এলাকার মাতব্বর দের নিয়ে শালিশি সভাও হয়।তাতেও কোন সুরাহা হয় নি।এবার বাধ্য হয়ে নিরুপায় স্ত্রী অঞ্জনা স্বামীর অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে স্ত্রীর ভরন পোষনের দাবি নিয়ে এবং শশুর বাড়িতে স্ত্রীর মর্যাদা ফিরে পাবার দাবি নিয়ে
রবিবার সকাল থেকেই স্বামীর বাড়ির সামনেই কন্যা সন্তানকে পাশে নিয়ে দাবি সম্বলিত প্লে কার্ড হাতে অভিনব কায়দায় ধর্নায় বসল । মহিলা কতৃক ধর্ণায় বসার ঘটনা চাউর হতেই কৌতূহলী জনতার ভিড় বাড়তে থাকে ধর্ণাস্থলে।এক সময় মহিলা একাই পশ্চিম বটরশি এলাকায় ধর্মনগর-পানিসাগর রাস্তাটি অবরোধ করে বসে।নির্যাতিতা মহিলা কতৃক ধর্ণা এবং রাস্তা অবরোধের খবর পেয়ে ছুটে আসে ধর্মনগর থানার পুলিশ।পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে ধর্ণায় বসা মহিলাকে বলপূর্বক ধর্মনগর থানাতে নিয়ে যায়।এদিকে অভিযুক্ত শ্বশুর জানান,তার ছেলে মিঠুন নাথ বিবাহের পর থেকেই বাড়িতে থাকত না।পাশাপাশি গৃহবধূকে বাড়ি থেকে বের করে দেবার বিষয়টি অস্বীকার করেছে শশুরবাড়ির লোকজন ।
0 মন্তব্যসমূহ