বিশালগড় প্রতিনিধিঃ শীত শুরু হতেই ভীড় উপচে পড়ছে সিপাহীজলা পিকনিক স্পটে। উল্লেখ্য সিপাহীজলা অভয়ারণ্যটি ত্রিপুরার একটি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য।
এটি একটি কৃত্রিম হ্রদ এবং প্রাকৃতিক বোটানিকাল এবং জাদু বাগান সঙ্গে একটি বনভূমি হয়। এটি তার মেঘাচ্ছন্ন চিতাবাঘ পরিবেষ্টনের জন্য বিখ্যাত। এই অভয়ারণ্যটিতে বিভিন্ন পাখি, এবং অন্যান্য প্রাণী রয়েছে। এই মনোরম পরিবেশে দেখার জন্য দূরদূরান্ত থেকে ভ্রমণ পিপাসুরা ছুটে আসছে। সিপাহীজলা অভয়ারণ্যে প্রায় ১৫০ টি প্রজাতির পাখি রয়েছে, তাছাড়া রয়েছে বানর। পাশাপাশি অভিবাসী
পাখীরা শীতকালে পরিদর্শন করে। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই অভয়ারণ্যের পাঁচটি বিভাগ রয়েছে: মৃৎশিল্প, প্রাণিবিজ্ঞান, অনাবৃত, সরীসৃপ এবং পাখি। এই অভয়ারণ্যে বেশ কয়েকটি হ্রদ রয়েছে, এবং বনভূমিতে একটি বাসস্থান রয়েছে। তবে বলা বাহুল্য বর্তমান সরকার রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র গুলির মতো সিপাহীজলা অভয়ারণ্যটিকেও মানুষের কাছে আরো আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য যথাযোগ্য চেষ্টা চালাচ্ছে। এদিকে একটু শীত পড়তেই ভীড়ে উপছে পড়ছে সিপাহিজলা পিকনিক স্পট ও অভয়ারণ্য। প্রকৃতি প্রেমীরা শহরের হিজিবিজি থেকে ছুটে যায় প্রকৃতির কোলে। সিপাহীজলা অভয়ারণ্যে মনমাতানো প্রাকৃতিক দৃশ্য ও বনভোজন করার আনন্দই অন্যরকম।
প্রতিদিন প্রায় হাজারেরও বেশি লোক হয়ে থাকে এই শীত কালে। সেই অনুযায়ী রবিবার সিপাহীজলা অভয়ারণ্যে ছিল ভ্রমণ পিপাসুদের ভীড়। ডিসেম্বর মাস চলে আসতেই সিপাহীজলা অভয়ারণ্যে শুরু হয়ে গেছে মানুষের আনাগোনা। এদিন ভ্রমণ পিপাসুদের সাথে কথা বলে জানা যায় সিপাহীজলা অভয়ারণ্যটি বনভোজনের জন্য খুব ভালো জায়গা , এমনকি এই অভয়ারণ্যে নানান প্রজাতির পশু পাখি রয়েছে, যার দরুন দুর দূরান্ত থেকে ছুটে আসছে ভ্রমণ পিপাসুরা। তবে এত লোকের সুরক্ষার জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে নামমাত্র লোক নিযুক্ত আছে। ভ্রমণপিপাসুদের দাবি সিপাহীজলা অভয়ারণ্যে আগামী দিনে যেনো প্রশাসন থেকে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়, তাহলে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা কম থাকবে। এদিকে ভ্রমণ পিপাসুদের ভীড় বাড়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদেরও বিক্রি ভালো হচ্ছে। এক কথায় বলা যায় সিপাহীজলা অভয়ারণ্য রাজ্যের একটি অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র।
0 মন্তব্যসমূহ