এই অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উত্তর ত্রিপুরা জেলার সভাধিপতি ভবতোষ দাস। ছিলেন উত্তর জেলার বিশিষ্ট সমাজসেবক দীপাল দাস, ছিলেন উত্তর জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তার চন্দন সরকার ও জেড ব্লেক ডায়মন্ড আগরওড কম্পানির অনান্য আধিকারিকরা। এই সভায় উপস্থিত বক্তারা আগরচাষের মাধ্যমে রাজ্যের আগর চাষিরা কিভাবে অধিক মুনাফা অর্জন করতে পারবে সে বিষয় গুলো তুলে ধরেন।বিষেশত জেড ব্লেক ডায়মন্ড আগরওড কম্পানির এমডি বলেন ত্রিপুরার আগর উন্নত মানের আগর। এই আগরকে আরো উন্নত করার লক্ষ্যেই রাজ্য সরকার অসমের জেড ব্লেক ডায়মন্ড আগরওড কম্পানিকে আমন্ত্রন জানিয়েছেন। বিগত কিছু দিন পূর্বে রাজ্য সরকারের সাথে তাদের মৌ স্বাক্ষরিত হলেও তারা বিগত প্রায় ৮ মাস আগে থেকেই ত্রিপুরার বিভিন্ন জেলায় আগরচাষকে লাভদায়ক করে তুলতে ইনোকুলেশনে কাজ করে চলেছেন।উত্তর জেলায় আগর চাষের বেশ গুরুত্ব রয়েছে। তাই তিনি বলেন , এতো দিন মূলত প্রাকৃতিক উপায়ে আগর চাষে খুব কমপরিমান গাছেই আগর উৎপন্ন হতো কিন্তু এখন থেকে বৈজ্ঞানিক ভাবে ইনোকুলেশনের মাধ্যমে প্রতিটি আগর গাছেই আগর উৎপন্ন হবে।
এতে অধিক মুনাফা মুখ দেখবে আগর চাষিরা।এতে আগর চাষিরা চাইলে ব্যাঙ্কের মাধ্যমে লোনের সাহায্যও নিতে পারবেন। সে দিকেও রাজ্য সরকার কৃষকদের স্বার্থে রাস্তা খুলে দিয়েছে। এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধক জেলা পরিষদের সভাধিপতি আগর চাষিদের স্বার্থে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগেকে সাধুবাদ জানান। তিনি বলেন একটা সময় রাজ্যের যুবকরা রাজনিতি মুখি ছিল কিন্তু বর্তমান রাজ্য সরকার যুবদের বিভিন্ন ব্যবসার মাধ্যমে স্ব-নির্ভর হয়ে উঠার প্রেরণা যোগাচ্ছে।উত্তর জেলায় প্রায় ২৫ লক্ষ আগর গাছ রয়েছে। জেলার আগর চাষিরা যদি এই ইনোকুলেশনের ব্যাবস্থা করে তবে উত্তর জেলা আর্থিক ভাবে অনেক স্বচ্ছল হয়ে উঠবে। আগর চাষিদের জন্য এই ইনোকুলেশন সুযোগ বেশ লাভ দায়ক হবে বলেই মনে করছেন সবাই। তাই রবিবার এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত আগরচাষিদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা গেছে।
0 মন্তব্যসমূহ