সাধারণ ভাবে প্রাকৃতিক নিয়মেই এক নবজাতক শিশুর জন্ম দেয় মা লিপি বেগম।জন্ম হওয়া নবজাতক শিশুর তখন ওজন ছিল প্রায় ৪ কেজি। চার কেজি ওজনের নবজাতক শিশুর ডেলিভারী করতে জননীর বহু রক্ত ক্ষরন সহ কষ্ট পেতে হয়েছে। শিশুটির উপর প্রচন্ড ও বর্বর ভাবে চাপ প্রয়োগ করা হয়েছিল।তাই হাত,পা গুলি ভাঙ্গা এবং বুকে প্রচন্ড চাপ প্রয়োগ করায় শিশুটির আশংকা জনক অবস্থায় আগরতলা আইজিএম হাসপাতালে তড়িগড়ি অভিযোগের দায় এড়ানোর জন্য মেলাঘরের কর্তব্যরত চিকিৎসক রেফার করেন।পরের দিন অর্থাৎ ২রা ডিসেম্বর শিশুট মৃত্যুর কাছে হেরে গিয়ে মারা যান। তখন আইজিএম হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকের জানান,মেলাঘরেই শিশুটির আশংকা জনক অবস্থা ছিল।দায় এড়ানোর জন্য আমাদের কাছে রেফার করেছে।এই কথা শুনে মৃত শিশুটির পরিবার প্রথমে আগরতলা পশ্চিম থানায় বিচারের আশায় মামলা দায়ের করতে গিয়েছিলেন।
কিন্তু সেখান থেকে কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার মেলাঘর থানায় পাঠিয়ে দেন। নিরুপায় হয়ে মৃত শিশুটির পরিবার মেলাঘর থানায় চলে আসে। সেখানেও মামলা নেয়নি পুলিশ।এখন হন্য হয়ে ঘুরছে বিচারের আশায় মৃত শিশুটির পরিবার।তা যেন বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদছে। এদিকে পরিবারের অভিযোগ নবজাতক শিশুর ওজন এত বেশী হওয়া সত্ত্বেও কিভাবে নরমাল ডেলিভারি করলো চিকিৎসক।সিজার পদ্ধতিতে ডেলিভারির কাজটি সম্পন্ন করলে পারতো মেলাঘরের কর্তব্যরত চিকিৎসক। শিশু বাচ্চা টি গর্ভে থাকা অবস্থায় পরীক্ষা নিরীক্ষা করা থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসকের এধরণের গাফিলতি মেনে নিতে পারছে না অসহায় মৃত শিশুটির পরিবার।এখন দেখার ঘটনাটি সম্পর্কে উর্ধ্বতন স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা নজর দিয়ে গাফিলতির অভিযোগ উঠা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে কিনা।
0 মন্তব্যসমূহ