সবুজ ত্রিপুরা
২৮ ডিসেম্বর
মঙ্গলবার
কদমতলা প্রতিনিধিঃ প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা মূল্যের নেশা সামগ্রী আটক উত্তরে। জেলা পুলিশের বিশাল সাফল্য।পৃথক পৃথক দুটি স্থানে গোপন খবরের ভিত্তিতে প্রচুর পরিমাণ নেশা সামগ্রী জব্দ করলো উত্তর ত্রিপুরা পুলিশ।
দুপুর একটা নাগাদ প্রথম নেশা বোঝাই লরিটি আটক করা হয় পানিসাগরে। কলকাতা থেকে আগরতলাগামী JK03H- 8770 নম্বরের লরিটি শিব শক্তি ট্রান্সপোর্টের বিভিন্ন খুচরো সামগ্রির সঙ্গে ৪৬৫৫ বোতল নেশার কফ সিরাপ ও ৩১,৮২৪টি নেশা জাতীয় ট্যাবলেট নিয়ে পানিসাগর পৌঁছে। সেখানে পানিসাগর পুলিশের নিকট আগে থেকেই খবর
থাকায় জাতীয় সড়কে উৎ পেতে বসে পুলিশ। গাড়িটি আসতেই তাকে আটক করে তল্লাশি করতেই এই বিশাল নেশা সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। যার কালোবাজারি মূল্য প্রায় নব্বই লক্ষ টাকা। সঙ্গে লরিতে থাকা চালক দুই ভাই আকিব আহমেদ ও আমির আহমেদকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। অপরদিকে একই ভাবে দুপুর দুইটা নাগাদ চুড়াইবাড়ি থানার ওসি জয়ন্ত দাসের নিকট গোপন খবর ছিলো যে, প্রচুর পরিমাণ ফেন্সি বোঝাই লরি ত্রিপুরায় প্রবেশ করবে। সেই মতো পুলিশ গাড়িটির খুঁজে বসে থাকে। পুলিশের রুটিন তল্লাশির গেটে গাড়িটিকে সিগন্যাল দিতেই চালক গাড়ি নিয়ে
পালিয়ে যাওয়ার সময় সেলট্যাক্স কমপ্লেক্সের ভেতর তাকে পাকড়াও করা হয় পুলিশ। তারপর পালিয়ে যাওয়ার সময় চালক সাবাজ আলিকে আটক করা হয়েছে। তার বাড়ি বিহার রাজ্যের গয়াতে। অবশ্য পরে NL01AC- 8677 নম্বরের গাড়িটি থানায় এনে তল্লাশি করতেই ঝুলি থেকে বিড়াল বেরিয়ে আসে। গাড়িতে থাকা আড়াই হাজার ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। প্রতিটা কার্টুনে একশো বোতল করে পঁচিশ হাজার বোতল ফেন্সিডিল যার কালোবাজারি মূল্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা বলে জানান পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী। এদিকে গাড়িতে আরো বিভিন্ন বাথরুম সামগ্রী বোঝাই ছিল।চালক জানায়, উত্তর প্রদেশ থেকে এই বিপুল নেশার সিরাপগুলো বোঝাই করে আগরতলা নিয়ে যাবার উদ্দেশ্যে আসছিলো। দুটি ক্ষেত্রেই চালকদের বিরুদ্ধে এনডিপিএস অ্যাক্টে মামলা নিয়ে তদন্ত জারি রেখেছে জেলার পুলিশ।
0 মন্তব্যসমূহ